কানাডার ট্রুডোর সামনে অশনি সংকেত। খালিস্তানী প্লট বুমেরাং একগুঁয়ে ট্রুডোর কেরিয়ারই শেষ হবে ভারত বিরোধিতায়। ভারত-কানাডার বাণিজ্য পথে খারাপ খবর কানাডার পিএমকে কেন উড়ন্ত তাজমহল দিতে চেয়েছিল দিল্লি? কানাডা কিছুতেই খালিস্তান ইস্যুতে মাথা ঝোঁকাবে না। ভারতও কড়া সুরে করে দিয়েছে সাবধান কিন্তু এখন এ পর্যায়ে ভারতের বিরোধীতা করে কি নিজের শনি নিজেই ডাকলেন জাস্টিন ট্রুডো। বলা হচ্ছে ট্রুডোর ভারত অভিশাপ তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারে। কানাডার বেশ কিছু সমীক্ষা বলছে এখনই যদি নির্বাচন হয় জাস্টিন ট্রুডো বলে বলে হারবে সেদেশে কারণ সেখানকার বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে ট্রুডোর বিরুদ্ধে তাঁরই দেশে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। নেপথ্যে কী ভারত কোনওভাবে কলকাঠি নাড়ল?
এরইমধ্যে থমকে গেছে ভারত-কানাডা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা। নির্ধারিত সূচি মোতাবেক আগামী মাসে ভারতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা ছিল ওটয়ার কিন্তু হঠাৎই সেই সফর বাতিল করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা পরিস্কার দাবি করছেন কানাডায় খলিস্তানিদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কানাডাকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত সম্প্রতি কানাডায় অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে খলিস্তানিরা নিশানা করা হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসকে। দিল্লিতে সদ্য সমাপ্ত জি-২০ সম্মেলনেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক যদি হতও সেখানেও যে খালিস্তানি ইস্যুই সবথেকে বেশি প্রাধান্য পেত সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনকি জি২০তে ট্রুডোর সঙ্গে মোদীর সখ্যতা তেমন দেখা যায়নি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর এক্ষেত্রে দাবি করেছিলেন ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে যেভাবে খলিস্তানিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা তার প্রভাব পড়েছে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কিন্তু তাতেও কী বাঁচবে ট্রুডোর কুর্সি?
এবার ভারত থেকে ফেরার পথে বিমান বিভ্রাটে পড়েন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী। সেসময় কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থা দেখে ভারতের তরফে নাকি এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই বিমানটি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বিমান। এটিকে ‘উড়ন্ত তাজমহল’ বলে ডাকা হয়। তবে একগুয়ে জাস্টিন ট্রুডো নাকি ভারতীয় বিমানে চেপে কানাডায় ফিরে যেতে অস্বীকার করে দেন। তাঁর এই একগুঁয়েমীর জন্যই কি এবার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ট্রুডো? কানাডায় ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা বামপন্থি লিবারেলরা বিরোধী কনজারভেটিভদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে আছে। এমনকি এখন যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে ট্রুডোর দল ক্ষমতা হারাবে বলেও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। ট্রুডোর হাত ধরে ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসে লিবারেল পার্টি। এর মধ্য দিয়ে কনজারভেটিভ সরকারের এক যুগেরও বেশি সময়ের শাসনের অবসান হয়। তবে বর্তমানে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমার নেপথ্যে ভারতের কোনও হাত নেই বরং মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমে গেছে। ট্রুডো কী তাহলে নিজেই পদত্যাগ করবেন?
আগস্টের শেষ দিকে এক সমীক্ষায় ৫৬ শতাংশ কানাডিয়ান মতামত দিয়েছিলেন ট্রুডোর উচিত পদত্যাগ করে অন্য কাউকে দলের নেতৃত্ব দেয়া। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দাবি আগামী নির্বাচনের আরও দুই বছর বাকি তিনি তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ এখনও বাকি রয়ে গেছে। তবে জনতা যে তাঁকে নিয়ে ক্ষুব্ধ সেকথা তিনি অস্বীকার করতে পারেননি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়