তাঁকে কেউ কোনও কথা বলার জন্য শিখিয়ে দেয়নি। নিজের ‘প্রজ্ঞা’তেই যা বলার বলেছেন তিনি। আদালতে পেশের সময় শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ অস্বীকার করে এমনই দাবি করলেন জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার পাওনা আদায় করেই ছাড়বেন।
গত ২৩ মার্চ আদালতে পেশের সময় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করেন পার্থবাবু। ঘটনাচক্রে সুজন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পার্থবাবু অভিযোগ করার ২০ মিনিট আগে প্রায় একই কথা লিখে টুইট করেন তৃণমূলের এক মুখপাত্র।
এর পর সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, আগের রাতে প্রেসিডেন্সি জেলের জেলারের ঘরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সব শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন শুভেন্দুর অভিযোগের জবাবে পার্থবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘অসত্য ভাষণের কোনও উত্তর দিই না। এধরণের অসত্য, বাস্তবহীন, কোনও তথ্য নির্ভর নয়। আমি যা জীবনে করিনি, উনি বিরোধী দলনেতা, উনি ভালো করে জানেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মধ্যে থেকেই আমি কথা বলি। আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয় না। আমি এই ধরণের মন্তব্য ওনার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই চিরকালই ছিল, এবং আমার স্থির বিশ্বাস যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র ধরনা নয়, তিনি বাংলার হয়ে সুদীর্ঘদিন লড়াই করা একজন সংগ্রামী নেত্রী। তিনি বাংলার ভাগ্য দেখবেন, বাংলার উন্নয়ন দেখবেন, বাংলার প্রাপ্য অর্থ তিনি আদায় করেই ছাড়বেন’।
পার্থর মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পার্থ তৃণমূল, তৃণমূলই পার্থ। তাঁকে শুধুমাত্র চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থর বিরুদ্ধে একটা কথা বলেননি।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কোনওক্রমে জেল থেকে ফেরাতে পারলে যাতে শিক্ষামন্ত্রীর পদটা ফিরে পান তার ব্যবস্থা করছেন পার্থ।