কার নামে নথি জমা দিয়ে খোলা হয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট? জানতে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করল ইডি। সোমবার সংস্থার নিউ আলিপুরের দফতরে ম্যারাথন তল্লাশিতে পাওয়া তথ্যে বিশ্লেষণ করেও সংস্থার কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডির বিবৃতি আনুসারে এখনও এই সংস্থার CEO রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সকালে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নিউ আলিপুরের দফতরে যান ইডির তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে সেখানে তল্লাশি চালান তাঁরা। ইডি সূত্রের খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি ও কয়েকটি হার্ড ডিস্ক। তাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা তল্লাশিতে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছেন, মোট ৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ড রয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের। ২০১২ সাল থেকে লেনদেন হচ্ছে অ্যাকাউন্টগুলিকে। সেই অ্যাকাউন্টগুলি কার নামে নথি দিয়ে খোলা হয়েছিল তা জানতে তৎপর হয়েছেন তদন্তকারীরা। সেজন্য ব্যাঙ্কগুলির কাছে লেনদেনের যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন তাঁরা।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতর থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ড ডিস্ক পরীক্ষার জন্য CFSL-এ পাঠাচ্ছে তারা। ওই হার্ড ডিস্কগুলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান তাদের। এছাড়া ওই সংস্থার CEO হিসাবে কারা কারা দায়িত্ব পালন করেছেন, ও সংস্থার কাজ কর্মে তাদের কী ভূমিকা ছিল তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
ইডির দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এমনকী নির্মাণ সংস্থা মার্লিন গ্রুপকে অ্যালুমিনিয়ামের জানলা বিক্রি করে পাওয়া কাটমানিও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।