মিথ্যাবাদীদের চরিত্র শনাক্ত করবেন কি করে ! জেনে নিন

মিথ্যাবাদীদের চরিত্র শনাক্ত করবেন কি করে  ! জেনে নিন

ওয়েব ডেস্কঃ    কিছু মানুষ আছেন যারা ‘প্যাথলজিক্যাল’ মিথ্যাবাদী। যারা কোনও কারণ ছাড়াই মিথ্যা কথা বলে। স্বভাবজাত এসব মিথ্যাবাদীদের ধরা খুবই কঠিন। কারণ তারা চর্চা করে সত্য নয় – মিথ্যার। এ ধরনের মিথ্যাবাদীদের উদ্দেশ্য থাকে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তারা নিয়মিত মিথ্যা বলে এবং সেই কারণে তাদের মাঝে ভাবান্তর দেখা যায় না।
. জেনে নিনপ্যাথলজিক্যালমিথ্যাবাদীর সংজ্ঞা
আপনি যদি ভয়ংকর মিথ্যাবাদীদের ধরতে চান তাহলে প্রথমেই জেনে নিন মিথ্যাবাদী কী? মনোবিদ ড. ভারত শাহ বলেন-  মাদকদ্রব্য, অ্যালকোহল, জুয়া বা যৌনতার নেশার মতোই এ ধরনের মানুষেরা মিথ্যা বলে এবং তা বলে আনন্দ পায়। এভাবেই তারা অন্য মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।


. সত্যের একটা চিত্র অঙ্কন করুন
পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ‘প্যাথলজিক্যাল’ মিথ্যাবাদীদের নির্ণয় করা সহজ। এজন্য কোনো চাপমুক্ত পরিবেশে ঠাণ্ডা মাথায় এ ধরনের মিথ্যাবাদীদের বিষয়গুলো চিন্তা করতে হয়। পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের আপনি যদি কিছু সাধারণ প্রশ্ন করেন তাহলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। সাধারণ যেসব প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা আছে, এগুলোই করুন। দেখবেন, কোনো কারণ ছাড়াই আপনার সামনে তারা মিথ্যা কথা বলবে। আর দেখতে পাবেন এ ধরনের মিথ্যার সময় তাদের আচরণে বোঝা যাবে যে তারা ‘প্যাথলজিক্যাল’ মিথ্যাবাদী।
. চাপের লক্ষণগুলো দেখুন
এই ধরনের মিথ্যাবাদীদের ধরা খুবই কঠিন। কারণ মিথ্যা বলার সময়েও তারা স্বাভাবিকভাবে কথা বলে। তার পরেও তাদের কথা বলার সময় কিছু চাপের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এ ধরনের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে হাত কচলানো ও জুয়েলারি নাড়াচাড়া করা। এছাড়াও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মিথ্যা বলার সময় তাদের আচরণ ভিন্ন হবে। এসব আচরণের মধ্যে রয়েছে জোর করে হাসা বা হাসিতে থমকে থাকা। লক্ষ্য করলে এধরনের আরও কিছু পরিবর্তন দেখতে পাবেন।


. চোখের দিকে তাকান
কারো মিথ্যার বিষয়ে সন্দেহ হলে তার চোখের দিকে তাকান। জনপ্রিয় একটি বিশ্বাস হলো মিথ্যা বলার সময় মিথ্যাবাদী আপনার চোখের দিকে তাকাতে পারবে না। কিন্তু এ বিষয়টি সবসময় প্রযোজ্য নয়। বিশেষ করে ভয়ংকর মিথ্যাবাদীদের ক্ষেত্রে তো নয়ই। গবেষণায় দেখা গেছে এই ধরনের মিথ্যাবাদীরা আরও বেশি করে চোখের দিকে তাকায়। কারণ তারা মিথ্যা কোনো বিষয় আপনাকে বিশ্বাস করাতে চায়। এক্ষেত্রে দেখতে হবে তাদের চোখের মণি প্রসারিত হয় কি না। মিথ্যা বলার সময় তাদের চোখের মণি প্রসারিত হবে। এছাড়া চোখের পাতা ফেলার হারও কমে যাবে এ সময়। এরপর আবার তাদের চোখের পাতা ফেলার হার বেড়ে যাবে।

. স্ববিরোধীতা লক্ষ্য করুন
এ ধরনের মিথ্যাবাদীরা প্রায়ই এতো মিথ্যা বলে যে পরে তাদের এসব কথা মনে থাকে না। ফলে একটি বিষয় তারা পরে ভিন্নভাবে বলতে পারে। ফলে আপনি এসব মিথ্যার বিষয় চিন্তা করলে সহজেই ধরতে পারবেন। আর এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা বিষয়টির প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবে, পাল্টা কোনো প্রশ্ন করবে বা কিছুমাত্রায় অস্বীকার করবে।


. কণ্ঠের দিকে লক্ষ্য করুন
জানা গেছে, চাপের মধ্যে কথা বলার সময় কারো কণ্ঠ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া মিথ্যা বলার সময় অনেকের গলা শুকিয়ে যায় ও জল খাওয়ার হার বেড়ে যেতে পারে।
. চারটি লক্ষণ
একঝাঁক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্ণয় করতে পারেন প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদীদের স্বরূপ। এর মধ্যে চারটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষক ডেভিড ডিস্ট্যানো জানান, চারটি বিষয় মিলিয়ে দেখলে আপনি এ ধরনের প্যাথলজিক্যাল মিথ্যাবাদীদের ধরতে পারবেন। এগুলো হলো হাত কচলানো, মুখ স্পর্শ করা, আড়াআড়ি বাহু রাখা ও ঝুঁকে থাকার প্রবণতা। এ ধরনের মিথ্যাবাদীদের বিষয়গুলো সামগ্রিকভাবে চিন্তা করলেই আপনি তাদের ধরতে পারবেন।

Image result for pathological liar symptoms

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here