লখনউ সুপার জায়ান্ট – ১৭৬/৮
কলকাতা: কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক নীতিশ রানা যে অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য নন সেটা তার টসের পর নেওয়া সিদ্ধান্ত দেখেই পরিষ্কার হয়ে গেল। ঘরের মাঠে রানার সিদ্ধান্ত নিয়ে অবাক সবাই। অঙ্ক বলছে, ম্যাচের আগে কেকেআর এবং আরসিবির যা রান রেট ছিল, তাতে লখনউয়ের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে কলকাতাকে অন্তত ১১০ রানের ব্যবধানে জিততে হত। সেক্ষেত্রে টস খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা। নীতীশ টসে জিতলেন।
কিন্তু সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে বললেন, আগে বল করবেন। নীতীশের সিদ্ধান্ত বিস্মিত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ আগে ব্যাট করলে স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখলে রান রেট বাড়ে। কিন্তু রান তাড়া করতে গেলে সেই কাজ অনেকটাই কঠিন। করণ শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন কুইন্টন ডি’কক। করণ (৩) কিছু করতে পারলেন না।
কিন্তু লখনউকে কিছুটা স্বস্তি দিলেন ডি কক এবং প্রেরক মনকার (২৬)। মার্কোস স্তইনিস খাতা খোলার আগেই ফিরে গেলেন। বৈভব অরোরার বলে অতিরিক্ত বাউন্স সামলাতে না পেরে। ক্রুনাল পান্ডিয়া (৮) নারিনকে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিলেন। বল থেমে আসছিল। ১০ ওভার শেষে লখনউয়ের রান ছিল ৭৩/৪। কুইন্টন ডি কক (২৮) সেট হয়েও অত্যন্ত খারাপ একটা শট খেলে উইকেট দিয়ে এলেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন শট। ১১ ওভারের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলল লখনউ।
এরপর নিকোলাস পুরান এবং আয়ুষ বাদোনি মিলে একটা পার্টনারশিপ তৈরি করলেন। কিছুটা অক্সিজেন পেল লখনউ। পুরান সবুজ মেরুন জার্সি পড়ে যেন ফিরে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবতারে। অন্যদিকে শুধু সিঙ্গল নিয়ে খেলছিলেন বাদোনি। ২৫ করে ফিরে গেলেন তিনি। কেকেআরের বিরুদ্ধে ৫৮ রান করলেন পুরান। শেষ পর্যন্ত ১৭৬ রানে শেষ করল লখনউ। বিশাল রান না হলেও এই রান কেকেআরের পক্ষে তোলা খুব সহজ হবে এমন নয়।
Tags: Kkr, LSG