রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএ বা মহার্ঘভাতার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন। রোজ নানা কথা তুলে ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এখন সামনে দুর্গাপুজো। তাই বিশেষ সহানুভূতি পেতে আওয়াজ জোরালো করছেন তাঁরা। এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ আজ আবার ৪ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তা বাড়াতেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমতো টুইট করে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ তফাৎ নিয়ে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। আর তা নিয়ে এখন নানা স্বপ্ন ফেরি পর্যন্ত করা হচ্ছে। যদি এই ডিএ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
সম্প্রতি বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির টাকা ডিএ আন্দোলনকারীদের দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এবার সেই টাকা বিধায়করা পাবেন কয়েকদিনের মধ্যেই। কারণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বেতন বৃদ্ধির ফাইলে সই করে দিয়েছেন। এবার রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের ডিএ ফারাকের তথ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিলে মহার্ঘভাতা দিয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে একটা দড়ি টানাটানি চলছে। তার মধ্যেই টুইট খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা।
এদিকে দীপাবলির আগে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের বড় খুশির খবর মিলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তার ফলে ৪২ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ। আজ, ১৮ অক্টোবর বুধবার এই বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধিতে অনুমোদন করা হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়াও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের অক্টোবর মাসের বেতনের সঙ্গে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপি নেতারা দুর্গাপুজো উদ্বোধন করতে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছে’, তোপ অভিষেকের
ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু? রাজ্য সরকার কিছুদিন ৩ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছেন। সে প্রসঙ্গ অবশ্য তোলেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘৪ শতাংশ বৃদ্ধির পর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ডিএ পাবেন ৪৬ শতাংশ। দুর্ভাগ্যবশত কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিএ’র ফারাক চওড়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডিএ দিচ্ছে ৬ শতাংশ আর মোদি সরকার দিচ্ছে ৪৬ শতাংশ।’ এই টুইটের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, ‘বামফ্রন্টের আমলে যে জায়গায় ডিএ ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রের সার্বিক অসহযোগিতা সত্ত্বেও সেই জায়গা থেকে ডিএ অনেকটা বাড়িয়েছেন। সামনে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। বিজেপি জানে এই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবেই। তাই এটা রাজনৈতিক চটকদারি ছাড়া আর কিছুই নয়।’