Home আপডেট কেন কল্যাণীর ঘোষপাড়া স্টেশনে কোনও ট্রেন থামল না দুর্গাপুজোর মধ্যে?

কেন কল্যাণীর ঘোষপাড়া স্টেশনে কোনও ট্রেন থামল না দুর্গাপুজোর মধ্যে?

কেন কল্যাণীর ঘোষপাড়া স্টেশনে কোনও ট্রেন থামল না দুর্গাপুজোর মধ্যে?

[ad_1]

কলকাতার দুর্গাপুজোর খ্যাতি রয়েছে সারা বিশ্বে। দুর্গাপুজোর কটা দিন জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ কলকাতায় আসেন পুজো দেখতে। ফলে জেলা থেকে কলকাতায় আসার জন্য শিয়ালদাগামী ট্রেনগুলিতে থিকথিক করে ভিড়। এবার দেখা গেল উলটো ছবি। এবার শিয়ালদা থেকে কল্যাণীগামী ট্রেনগুলিতে দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়। তবে সেটা দর্শনার্থীদের বাড়ি ফেরার ভিড় নয়, সেটা হল পুজো দেখার ভিড়। সকাল থেকে রাত অবধি এবারের পুজোয় কল্যানীগামী ট্রেনগুলিতে দর্শনার্থীদের উপচে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এমনকী ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের অনুরোধে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কোনও ট্রেন কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনে দাঁড় করানো হয়নি। আসলে এই ভিড় হল কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের প্রতিমা দর্শনের ভিড়।

আরও পড়ুন: কল্যাণীর রথতলায় কি বাংলার সবচেয়ে উঁচু মণ্ডপ? বাজেট কত হাইপ্রোফাইল পুজোর

সাধারণত কলকাতার পুজোগুলি থেকে এই ক্লাবের পুজোর বয়স অনেকটাই কম। এ বছর ৩১ বছরে পা দিয়েছে লুমিনাস ক্লাবের পুজো। এই ক্লাবের পুজোর মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছিল চিনের বিলাসবহুল হোটেল গ্র্যান্ড  লিসবোয়া’র আদলে। তা দেখার জন্যই কল্যাণী যাওয়ার ট্রেনগুলিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা দেয়। শিয়ালদা থেকে কল্যাণী যাওয়ার যতগুলি লোকাল ট্রেন রয়েছে যেমন কৃষ্ণগর, শান্তিপুর, রানাঘাট বা গেদে লোকাল সেই ট্রেনগুলিতে প্রচুর ভিড় হয়েছে। কল্যাণী সীমান্ত লাইনে কল্যাণীর পরেই হল কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশন। এই স্টেশনের কাছে রয়েছে লুমিনাস ক্লাবের পুজো মণ্ডপ। ফলে ওই স্টেশনে নেমে এই ক্লাবের পুজো দেখতে যাওয়ার সুবিধা হয়।

পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই পুজো দেখতে জেলা থেকে তো বটেই কলকাতা থেকেও কাতারে কাতারে ভিড় করেছে মানুষ। তা সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছিল ক্লাবের সদস্যদের। তারপরে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই কয়েকটা দিন স্টেশনে ট্রেন বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল। শেষে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ৫ দিন কল্যাণী সীমান্ত লাইনের ঘোষপাড়া স্টেশনে ট্রেন থামেনি। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। কল্যাণী স্টেশন থেকে নেমেই পায়ে হেঁটে সেখানে পুজো দেখেছেন দর্শনার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে শ্রীভূমির পুজোতে জনজোয়ার দেখা গিয়েছিল। সেই সময় বিধাননগর ও সংলগ্ন স্টেশনগুলিতে কয়েক ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে কল্যাণীর মতো শহরের পুজোও যে এভাবে কলকাতাকে টেক্কা দিতে পারে তা নজিরবিহীন। দর্শনার্থীদের অনেকেই জানাচ্ছেন, এবার কলকাতার পুজোর থেকেও কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের পুজোয় বেশি ভিড় হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়েছে এই ক্লাবের পুজো দেখতে।  প্রসঙ্গত, লুমিনাস ক্লাবে প্রতিমা সাজানো হয়েছে ৫০ কিলো সোনার গয়না দিয়ে। বেঙ্গালুরুর একটি নামী সংস্থাকে লেজার শোয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে এই পুজোতে খরচ হয়েছে ৫৫ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, গত বছরেও কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের পুজো ছিল দেখার মতো।

 

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here