শহরে ফের পথ দুর্ঘটনা। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল স্কুটি চালক এবং তাঁর স্ত্রীর। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বন্দর থানার গার্ডেনরিচ এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুর্ঘটনা পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দম্পতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পরেই ওই বাস চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় দম্পতির পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার পথে সপরিবারে দুর্ঘটনায় কলকাতার চিকিৎসক, মৃত ১ সড়ক নির্মাণ কর্মী
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাতক বাসটি মেটিয়াবুরুজ থেকে শ্যামবাজারের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় গার্ডেনরিচের কাছে উলটো দিক থেকে একটি স্কুটি আসছিল। তখনই স্কুটির সঙ্গে বাসের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। সজোরে ধাক্কা লাগার পরেই স্কুটি থেকে ছিটকে অনেকটাই দূরে পড়েন ওই দম্পতি। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে সেখানে ওই দম্পতিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ওই দম্পতির পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার জেরে ওই রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে যানজট তৈরি হয়। রাস্তার উপরেই বেশকিছুক্ষণ ধরে পড়েছিল দুর্ঘটনাগ্রস্থ স্কুটিটি। এর ফলে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ঘাতক বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ স্কুটি এবং ঘাতক বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শহরে দুর্ঘটনা প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক ক্ষেত্রেই বাসের রেষারেষির জেরে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। রবিবার এমনিতেই রাস্তায় যান কম থাকে ফলে অনেক রাস্তাতেই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে দেখা যায় চালকদের। তাছাড়া শহরে বাসের রেষারেষির জেরে দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। এদিনও দুটি বাসের রেষারেষির কারণে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের। অন্যদিকে, অনেক ক্ষেত্রে বাইক চালকদের মাথায় হেলমেট থাকে না। যদি এক্ষেত্রে ওই দম্পতির মাথায় হেলমেট ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই দম্পতির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে দম্পতির পরিবারে। সে ক্ষেত্রে বাস চালকের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।