[ad_1]
চীন মাঝ আকাশে আমেরিকার বড় ক্ষতি করে দিল। চীনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং-ইর সঙ্গে ব্লিঙ্কনের মিটিংয়ের মাঝে চাঞ্চল্যকর খবর মার্কিন বিমানকে জোর ধাক্কা চীনা জেটের। ইজরায়েল গাজা যুদ্ধের মাঝে নতুন আশঙ্কা। একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শান্তিরক্ষার চেষ্টা করছিল আমেরিকা-চীন, কিন্তু বেজিং আসলেই ময়দানে দেখিয়ে দিল নিজেদের রূপ। মার্কিন যুদ্ধবিমানকে কি মাঝআকাশেই চুরমার করতে গেছিল পিএলএ আর্মির এই বিমান। আমেরিকা এমূহুর্তে যে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে চীনকে তার জবাব দিতে হবেই। কারণ বর্তমানে আমেরিকাতেই রয়েছেন চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াংই। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল বলছে রয়টার্সের হেডলাইন বলছে চীনের বিদেশমন্ত্রী মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে পাশে নিয়ে আমেরিকা-চীন জোট মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন কিন্তু তার মাঝেই তাঁর দেশের সেনাই বোধহয় ব্লান্ডার করে দিল।
মার্কিন সেনার তরফে জানা গিয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় মহড়া চালাচ্ছিল আমেরিকার বি-৫২ বম্বার বিমান। সেই সময়েই আচমকা খুব কাছে চলে আসে চীনা জে-১১ জেট। মার্কিন বিমান থেকে মাত্র ১০ ফুট নীচ দিয়ে উড়তে থাকে চীনা বিমান এমনকি মার্কিন বিমানের সামনে এসে দুর্ঘটনা ঘটানোরও চেষ্টা করে চীনা জেট। কোনওমতে দুর্ঘটনা এড়ান মার্কিন বিমানের পাইলট এমনটাই দাবি করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা। গত মাসেই বিশ্বমঞ্চ থেকেই নাম না করে আমেরিকাকে এক হাত নিয়ে ঠান্ডা লড়াইয়ের হুঙ্কার দিয়েছিল চীন। দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদও কার্যত সপ্তমেই থাকে কিন্তু এই আবহে চীনা বিদেশমন্ত্রীর ওয়াশিংটনে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্য বলে মনে করেছিল বিশ্লেষকরা। জানা যাচ্ছে ব্লিঙ্কনকে চীনের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন আমেরিকা ও চীনের যে অস্থির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে এই সম্পর্ক ঠিক করার জন্য দুদেশের মধ্যে কথোপকথন হওয়া জরুরী। চার দিনের জন্য আমেরিকা সফরে থাকা ওয়াং ইর কথায় শুধু কথোপকথনই নয় এই আলোচনা গভীর ও গঠনমূলক হওয়া উচিত তাহলে দুদেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ধীরে ধীরে মিটে যাবে।
ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে বড় মুখ করে যেসব কথা চীনামন্ত্রী বলছেন তাহলে মার্কিন বিমানের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি এবার কী প্রতিক্রিয়া দেবেন? কারণ আমেরিকার সেনার তরফে জানানো হচ্ছে বিমান সংঘর্ষের চেষ্টার সময়ে দৃশ্যমানতা বেশ কম ছিল কিন্তু তার মধ্যেই মার্কিন বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটানোর চেষ্টা করেন চীনা যুদ্ধবিমানের পাইলট। এই আচরণকে আন্তর্জাতিক এয়ার সেফটি নিয়মের বিরোধিতা হিসাবেই আখ্যা দিচ্ছে মার্কিন সেনা। কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয় গত দেড় বছরে অন্তত ১৫ বার মার্কিন বিমানের প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ করেছে চীনের সামরিক বাহিনী এবার দেখার বেজিং কীভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়