গণিতে স্নাতকোত্তর করে গবেষণা শুরু করেছিলেন। মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত নিমতিতার যুবক হিমাংশু কর্মকারকে যাদবপুরের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু ছোটবেলায় বাপ মরা ছেলেটা ব়্যাগিংয়ে যুক্ত মানতে রাজি নয় পরিবার। ভাগ্নের গ্রেফতারির খবর শুনে শনিবার কলকাতায় ছুটে এসেছেন মামা বিশ্বরূপ দাস। সঙ্গে এসেছেন হিমাংশুর ভাই। বিশ্বরূপবাবু বলেন, ভাগ্নে কী ব়্যাগিং করবে। আমাদের তো মনে হয় ওকেই ব়্যাগিং করেছে কেউ।
বাবার মৃত্যুর পর মা – দিদি ও ভাইকে নিয়ে হিমাংশুর পরিবার। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্থানীয় স্কুলে পড়েছেন। তার পর পড়াশুনো নবোদয় স্কুলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতে স্নাতকোত্তর করার পর ২ মাস আগে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে গবেষণায় যোগদান করেন তিনি। বিশ্বরূরবাবু বলেন, ভাগ্নে অনেকদিন ধরেই বাড়ির বাইরে। তবে ও ব়্যাগিং করতে পারে না। ও বড়দের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা পর্যন্ত বলে না। ওকেই নিশ্চই কেউ ব়্যাগিং করেছেন।
কিন্তু স্নাতকোত্তর হয়ে গেলেও কেন এখনো তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে। হিমাংশুবাবু বলেন, ও সবে একটা জায়গায় গবেষণা শুরু করেছে। বললেই তো কলকাতা শহরে ঘর পাওয়া যায় না। তার ওপরে এত বছর ধরে হস্টেলে রয়েছে। একটা ঘর জোগাড় করে জিনিসপত্র সরানো শুরু করেছিল। কিছু জিনিস বাড়িতে রেখে এসেছিল। তার মধ্যেই এই কাণ্ড।
হিমাংশুর দিদিও কলকাতায় পড়াশুনো করেন। শনিবার সকালে নিমতিতার কর্মকার পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় হিমাংশুদের বাড়িতে তালা ঝুলছে। মা মামাবাড়ি চলে গিয়েছেন। মেধাবী ছেলের গ্রেফতারিতে হতবাক গোটা চত্বর।