শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে যাচ্ছে চীনের পিএলএ আর্মি। চীনা সেনার বদনাম করা করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। কেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরালেন জিনপিং কারণ পরিস্কার? লাল ফৌজকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না? পরিস্থিতি হাতের বাইরে। যেসেনাকে নিয়ে গর্বে বুক ফুলত জিনপিংয়ের সেই সেনার বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে বদনাম। চীনের পিএলএ আর্মির স্পেশাল ফোর্স রকেট বাহিনী যারা চীনের পরমাণু ভান্ডার আগলে রাখে সোজা তাদের নামে এত বড় দুর্নাম।দুনিয়াকে দেখিয়ে দেওয়া হল পিএলএ আর্মি কোথায় দুর্বল? এবার চীনের শত্রুরা এর ফায়েদা তুলবে না তো?জিনপিংকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল নাকি চীনের আর্মি? সেজন্যই কী প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুকে সরিয়ে দেওয়া হল?
চীনের সংবাদপত্র পিএলএ ডেইলি যেভাবে লালফৌজের মাথা নিচু করা হয়েছে সেটা দেখে রীতিমত অবাক আন্তর্জাতিক মহল। আমেরিকার কথা অনুযায়ী সত্যিই বড় রহস্য ঘনাচ্ছে শিয়ের ক্যাবিনেটে। চীনা সেনাবাহিনীর সংবাদপত্র ‘পিএলএ ডেইলি’ এখানে মূলত, প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে শত্রুপক্ষের মনোবল ভেঙে দিতে দেশের সেনার হিরোইক ছবি তুলে ধরতেই ব্যবহার করা হয় কাগজটিকে।কিন্তু সেখানেই চীনের রকেট বাহিনী আদৌ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে তোপ দাগা হয়েছে। অথচ তাইওয়ান দখল করতে চীনের যে নীল নকশা তাতে বিরাট ভূমিকা রয়েছে এই রকেট ফোর্সেরই। কমিউনিস্ট চীনের ইতিহাসে একে কার্যত বেনজির ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কিন্তু কেন এমনটা হল?
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে লালফৌজের অন্দরে চরম গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাড়ছে কার্যত এমূহুর্তে যা সামলাতে পারছেন না জিনপিংও। গত আগস্ট মাসে চীনের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারের দায়িত্বে থাকা রকেট ফোর্সে বড়সড় রদবদল করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই বাহিনীর প্রধান হিসাবে নৌসেনার ডেপুটি কমান্ডার ওয়াং হাউবিনকে নিযুক্ত করেন তিনি। রকেট ফোর্সের কমান্ডার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় লি ইউচাউকে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তও চলছে। তদন্তকারীদের রাডারে রয়েছে ইউচাউয়ের দুই সহযোগীও।
আন্তর্জাতিক মহল দাবি করেছিল আসলে জিনপিং নিজের ঘনিষ্ঠ ওয়াং হাউবিনকেই নিযুক্ত করেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পিপলস লিবারেশন আর্মি বা চিনের ফৌজে দুর্নীতি গভীরে শিকড় জমিয়েছে। তাই ক্ষমতায় এসেই ‘সাফাই অভিযান’ শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট শি।
এক্ষেত্রে অনেকেরই দাবি ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে সেনার অন্দরে বিরোধীদের কোণঠাসা করছেন তিনি। হয়ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুকে টপকে জিনপিংয়ের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেই। হয়ত এর তীব্র প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি তাই তো তাঁকে আর জনসমক্ষে এখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২০ সালে চীনে সেনা অভ্যুত্থানের একটা খবর বিশ্বে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এবারও কি তেমনই কোনও ইঙ্গিত মিলছিল যার জন্য এতবড় সিদ্ধান্ত নিলেন জিনপিং? প্রশ্ন উঠছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়