ইউক্রেন পুতিনকে গো হারা হারিয়ে দেবে বাখমুতে উল্টে গেল পুরো খেলাটাই। মস্কো ব্যাপক চাপে গুলিয়ে যাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের সব প্রেডিকশন। রুশ বাহিনীকে কিয়েভের ট্র্যাপে পা দিল? ভ্লাদিমীর জেলেনস্কি আরও একবার মগজাস্ত্রে শান দিলেন। পুতিন এত বড় বড় ডিল করেও ফিল্ডে ফেল হচ্ছেন কেন? রাশিয়ার বাহিনীকে কি প্রপার ট্রেন করা যাচ্ছে না আর নাকি যুদ্ধের এই পর্যায়ে এসে স্ট্র্যাটেজিতেই গলদ? এখন ইউক্রেনের একটাই টার্গেট
বাখমুত রাশিয়ার হাত থেকে পুরোপুরি ছিনিয়ে নেওয়া। কীভাবে এ অসাধ্য সাধনের পথে এগোচ্ছে কিয়েভ বাহিনী? আমেরিকা লাগাতার সাহায্য করে গেলেও চমকে দিচ্ছে ইউক্রেনের ফৌজ।
বাখমুটের দক্ষিণে, শহর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে চলছে প্রবল লড়াই। কিয়েভ জানিয়েছে ইতিমধ্যে আন্দ্রিভকা গ্রাম রাশিয়ার দখল থেকে মুক্ত করা হয়েছে। ইউক্রেন সেনার কমান্ডার ওলেকসান্দ্র সিরিস্কি একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছেন ক্লিশ্চিভিকা গ্রাম থেকে রুশ হানাদারদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রণক্ষেত্রের ছবি পালটে কাউন্টার অফেন্সিভ কৌশলে রীতিমত আক্রমণ শানাচ্ছে জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ সেনাকে পালটা মার দিয়ে বাখমুট শহরের দক্ষিণ ও পূর্বের কিছু অঞ্চল ইতিমধ্যে দখল করেছে ইউক্রেনের ফৌজ। আর কিয়েভের এই বীরত্বকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না বলছেন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা।
তার এটাও বলছেন হঠাৎ ইউক্রেনের এমন ঘুরে দাঁড়ানো এটা একেবারেই আশা করা যায়নি, এ যেন যুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু হয়ে গেল। বিবিসিকে কিংস কলেজ লন্ডন ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের ড. মেরিনা মিরন জানাচ্ছেন ইউক্রেনীয়দের এখন যে সমস্যাটি আছে সেটা হল এখনও তাদের সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। রাশিয়ার মাইন, ড্রোন এবং ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রের সামনে ইউক্রেনের সাঁজোয়া গাড়ি কিন্তু এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।
ইউক্রেন যদি রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে টোকমাক শহর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে তাহলে তারা ক্রিমিয়ার সাথে রাশিয়ার রেল ও সড়ক সরবরাহ রুটগুলোকে তাদের সীমার মধ্যে নিয়ে আসতে পারবে। সেক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর কমিউনিকেশন ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়া যাবে। গ্রাউন্ড ফ্যাক্ট বলছে টানা তিন মাস কঠিন আক্রমণের মুখে পড়ে এখন অনেকটাই ক্লান্ত সম্ভবত কিছুটা নিরাশ হয়ে পড়েছে রুশ বাহিনী। তাই এমূহুর্তে বাখমুত এটা অতি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এই শহর পুনরুদ্ধার শেষ পর্যন্ত কি করতে পারবে ইউক্রেন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি করতে পারে তাহলে মেনে নিতে হবে। খেলা এখনও অনেক বাকী পুতিনের কাছে হবে সেটা সবথেকে বড় ধাক্কা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়