দিনের প্রথম চোখ মেলা অম্লান রায় চৌধূরী ************************************* আমার দেখা সকাল - বিশেষনে না ঢেলে ঢালি আমারই ছাঁচে – দেখি সকালের কোলে বিকেলের কোনো ছাপ আছে, নাকি এক স্বচ্ছ সকাল – সবেই উঠল পদ্মের ডাঁটির শেষ জল বিন্দুর মতন । তবুও দ্বন্ধ, আমার ভাবার সকাল নাকি সকালের নিজের মতন চলার সকাল । তাই সকাল এত তাজা আমার কাছে । বেশ টিপে টিপে পরীক্ষা করলেও আকার একই থাকে, সত্যিই এই তাজাই আসে এমন ভাবে মনে হয় যেন নবান্নের ঘ্রান নিয়ে এল । তাকিয়ে থাকলে মনে হয় অবসাদ কাটিয়ে ওঠা আর এক বিশ্রাম । প্রতিটা বিশ্রামই এক অবসাদের ছাড়া কাপড় – নতুন কাপড় পড়, না হলে পুরানো কাপড়েই – অবসাদের ঘ্রান ছেড়ে নাও বিশ্রামের আজানে । দুটোই বিশ্রাম । খুব কাছ থেকে সকাল দেখেছো ? আমার মনে পড়ে সেই সকাল যেখানে সদ্য স্নানের পর এলো চুলে সদ্য যুবতীর শরীরের সব অস্ত্র দিয়ে লক্ষন রেখা টানার চেষ্টা । বয়সের মাঝে যারা , ঢাকার বাজনা ছাড়াই রাতের শান্তি স্নান লুফে নেয় যারা– সপ্রতিভ তারা – উজ্জ্বলও, তবুও আহ্বানের সিঙ্গা মুখে - জানেনা কতটা ছাড়বার । তারা শুধু তাকায়, দেখতে জানেনা – উপভোগ করে নিজেদের মতন করে – এটাও যে দৃশ্য হয় বোঝে । এই সকালে পাখীদের কলরবেও আছে এক সুন্দর তরজা। কেউ তাকায় ঘরের চালের ফাঁক দিয়ে আবার কেউ সরাসরি ড্যাব ড্যাব করে – গিলে ফেলে। ওদের দেখা আর তাকানো – বাজারের মাছ দেখার মতন । কানকো দেখেই চেনা যায় – কতটা বাসী । তবে বেঁচে যায় তারাই যাদের ওসব দেখতে হয়না । যারা দেখা আর তাকানকে একই পাল্লায় ওজন করে । আমার কাছে কিন্তু সেই সকালটাই খোলস ছাড়ে, যেখানে গাছের মাথায় গুড়ের হাঁড়ি , আধা ল্যাংটো গেছোর গাছকে আঁকড়ে ধরা, আঁচল ঢাকা যুবতীর কলসী মাথায় হাত তোলা না তোলার মধ্যবর্তী সময়টাকে ধরে রাখার – সব রঙ্গ মিশিয়ে দেয় । তখনই জাগা হলো – সত্যিই চোখ মেলা হলো। ********************