কলকাতায় বিদেশি বান্ধবীর বাড়ির নীচে উদ্ধার হল চিকিৎসকের দেহ। মঙ্গলবার দুপুরে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ওই চিকিৎসকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ওই বহুতলের বাসিন্দারা নীচে চিকিৎসকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। জানা যায় তাঁর বিদেশি বান্ধবী ওই বহুতলেরই বাসিন্দা। তবে কী ভাবে চিকিৎসকের দেহ সেখানে এল তা বলতে পারছেন না কেউ। প্রাথমিকভাবে অনুমান বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে তিনি পড়ে গিয়েছেন, না তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বলে রাখি, গত ১ মাসে এই নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনে রাজ্যে ২ জন তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যু হল। গত মাসে বারাকপুরে লিভ ইন পার্টনারের আবাসনে চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রজ্ঞাদীপার পুরুষসঙ্গী কৌশিক সর্বাধিকারী সেনা হাসপাতালের চিকিৎসক। সুইসাইড নোটে তাঁর নাম লিখে যান প্রজ্ঞাদীপা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, প্রজ্ঞাদীপার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তদন্তে নেমে যে ঘর থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানে মদের বোতল ও নেশার অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন প্রজ্ঞাদীপার বাবা মা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে আত্মঘাতীই হয়েছেন প্রজ্ঞাদীপা।