অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনসভার সদস্যপদ খারিজ করতে তৎপরতা বাড়ল তৃণমূলে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দু’এক দিনের মধ্যে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে তারা। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা শেষ হলেই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূলের আইনজীবী সেল।
বুধবার কলকাতার শহিদ মিনারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সভায় অভিষেক বলেন, মোদী সম্প্রদায়কে নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জন্য তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হলে ‘দিদি… ও দিদি’ বলার জন্য নরেন্দ্র মোদীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হবে না কেন? কেন বীরবাহা ‘হাঁসড়া’কে ‘পায়ের তলায় থাকত’ বলার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হবে না।
তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেকের মন্তব্যের পরই নরেন্দ্র মোদী ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে তৎপর হয়েছে তৃণমূলের আইনজীবী সেল। ইতিমধ্যে সুরাত আদালতের রায়ের প্রতিলিপি সংগ্রহ করেছে তারা। সেই রায় খতিয়ে দেখে তৃণমূলি আইনজীবীদের দাবি, একই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন মোদী ও শুভেন্দু।
গত ২৩ মার্চ মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায় সুরাতের একটি আদালত। তার পর দিন জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনে রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করেন স্পিকার। এর পরই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ‘দিদি, ও দিদি’ সম্মোধন নিয়ে আপত্তি জানায় তৃণমূল। বুধবার অভিষেক দাবি করেন, এভাবে দিদি সম্মোধন করে বাংলার নারীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বিজেপির দাবি, ‘দিদি’ কোনও আপত্তিকর শব্দ নয়। উলটে তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকরভাবে আক্রমণ করে কখনও হোঁদলকুৎকুৎ, কখনও ডাকাত সর্দার বলেছেন মমতা।