ইন্ডিয়ান আর্মির ঘোস্ট অপারেটরদের কথা শুনেছেন কোনওদিনও? POK থেকে এক সেকেন্ডও নজর সরে না এই ৯ প্যারা স্পেশাল ফোর্সের। একবার শত্রুর ডেরায় ঢুকে গেলে খতম করার টেকনিকই আলাদা। এদের অপারেশনে বাহবা দিতে হয়েছিল পাকিস্তানকেও। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ৯ প্যারা এসএফ না থাকলে এত শার্পলি বোধহয় হত না। এমন অনেক কিছু রয়েছে ইন্ডিয়ান আর্মির ভিতরে যা এখনও জনতার অগোচরেই থাকে। সবটা প্রকাশ হবে না দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে। ২০১৬ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক জানেন তো? তার অনেক আগেই এই স্পেশাল ফোর্স পাকিস্তানে ঢুকে ভারতের প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে আসে। কোন মন্ত্র নিয়ে শত্রুর কাম তামাম করে এই কমান্ডোরা? গুরুতর কিছু না হলে জনতার সামনেও আসে না এই ফোর্স।
অপারেশন মোন্ধলির কথা শুনে আজও কাঁপে পাকিস্তান। ইন্ডিয়ান আর্মির সিক্রেট ইউনিট যাকে বলে ঘোস্ট রেজিমেন্ট। আর সেই ঘোস্ট রেজিমেন্টেই থাকে ৯ প্যারা এসএফের কমান্ডোরা। দেশের কোন স্পেসিফিক এরিয়াতে মোতায়েন থাকে ৯ প্যারা এসএফ? কেন ঘোস্ট অপারেটর বলা হয় এদের? ২০০১ অপারেশন অ্যাপাচি মাথার বদলে মাথা LOC পেরিয়ে পাকিস্তান আর্মিকে টার্গেট করার এমন লোকেশন বেছেছিল এরা। যা ছিল সবথেকে খতরনাক কারণ ওই এলাকাতেই খাড়া করা ছিল পাক জঙ্গিদের ব্রিগেড। বকরবাল কাশ্মীরের সবথেকে শান্তিপ্রিয় গোষ্ঠী তাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করত এই জঙ্গিরা। তারা ইন্ডিয়ান আর্মির দ্বারস্থ হওয়ায় সীমান্তে ওপারে পাঠানো হয় ৯ প্যারা এসএফকে।
তারপর ধরে ধরে জঙ্গিদের খেল খতম করে এই বিশেষ কমান্ডো। ধর থেকে আলাদা করা হয় মাথা। পাকিস্তান এখনও এই অপারেশনের কথা ভাবলে আঁতকে ওঠে বাজি রেখে বলা যায়। যে এলাকাতেই মোতায়েন থাকে এই স্পেশাল কমান্ডোস। সেখানকার নাগরিকদের সঙ্গেই মিশে যায় এরা। কেউ আলাদা করে খুঁজে পাবে না, সেইজন্যতো এদের ঘোস্ট, ভূত বলা হয় ৷ সেজন্যই তো এদের বলে ঘোস্ট অপারেটর প্রতিরক্ষা মহলের বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে মূলত পিওকে ও জম্মু কাশ্মীর উপত্যকায় ইন্টালিজেন্স ও মিলিটারি অপারেশনে কাজে সামনে আসে এই ফোর্স। শত্রু বিপদের টের পাওয়ার আগেই অপারেশন শুরু করে ফেলে ৯ প্যারা এসএফ। ৯ প্যারা এসএফ ক্যাপ্টেন তুষার মহাজন ল্যান্স নায়ক মোহন নাথ গোস্বামী। ল্যান্স নায়ক ওম প্রকাশের মতো বীর জওয়ানকে দিয়েছে ভারতকে। জেনে রাখা দরকার ভারতের সবথেকে কঠোর ফোর্স বলা হয় ৯ প্যারা এসএফকেই৷ শত্রুরা এদের নাম নিতেও ভয় করে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়