[ad_1]
অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়ে উচ্চ শিক্ষাদফতরের অবস্থান জানাতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। সেই চিঠির জবাব দিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, অন্তবর্তী উপাচার্য পদের দায়িত্ব সামলাবেন বুদ্ধদেব সাউই।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে চিঠি পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। তাতেই বলা হয়েছে, গত ২৩ ডিসেম্বরের চিঠিতেই দফতর নিজের অবস্থান জানিয়েছে। ওই চিঠিতেই বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণের নির্দেশ দেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পাল্টা প্রশ্ন তুলে উচ্চ শিক্ষা দফতর জানাতে চায় একক ভাবে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বৈধতা কোথায়? সেই দিনই উচ্চশিক্ষা দফতর বুদ্ধদেব সাউকেই উপাচার্যের ক্ষমতার ব্যবহার ও দায়িত্ব পালন চালিয়ে যেতে বলে। তারপরও পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের মধ্যে উপাচার্য পদ নিয়ে বিভ্রান্তি থেকে যায়। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদনকারী কে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
এই বিভ্রান্তি কাটাতে উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠি পাঠান রেজিস্ট্রার। সেই চিঠির উত্তর আসে শুক্রবার। উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় বিভ্রান্তির কোনও কারণ নেই। কারণ আগেই দফতর থেকে জানিয়ে ছিল বুদ্ধদেবই থাকছেন অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে।
বিভ্রান্তি কি কাটল?
অধ্যাপকের একাংশ দাবি করছেন, বিভ্রান্তি কাটে নি। কারণ উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠি আসার আগের দিনই বৃহস্পতিবার চিঠি আসে রাজভবন থেকে। তাতে বলা হয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন বুদ্ধদেব সাউ।
রাজ্যপালের নির্দেশে রাজভবনের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত চিঠিটি পাঠানো হয়েছে যাদবপুরের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। চিঠিতে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কাজে হস্তক্ষেপ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেজিস্ট্রার ও সহ-উপাচার্যের কাছ থেকে কমপ্লায়েন্স রিপোর্টও চেয়েছে রাজভবন।
কী বলছেন বুদ্ধদেব
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় বড়ি কোর্ট রাজ্য সরকারের চিঠিকেই মান্যতা দিয়েছে। তাই এ নিয়ে তাঁর কাছে খুব একটা বিভ্রান্তি নেই তা জানিয়েছে দিয়েছেন বুদ্ধদেব। তিনি বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবথেকে বড় বডি কোর্ট। তার প্রত্যেক সদস্য তাঁর চিঠি অমান্য করে, রাজ্য সরকারের চিঠিকে মান্যতা দিয়েছে। সেই কোর্টের বিরুদ্ধে ওঁর একটাও কথা নেই।’ রাজ্যপালের ভূমিকায় তাঁর প্রশ্ন, ব্যক্তি বুদ্ধদেব সাউয়ের পিছনে কেন পড়েছেন? এ তো দুর্বলের উপর সবলের আক্রমণ।’
রাজ্য-রাজভবন টানাপোড়নের যাতে দ্রুত কাটে সেটাই আপাতত চাইছেন পড়ুয়া থেকে অধ্যাপকরা।