[ad_1]
রাত পোহালেই কালীপুজো। তারপর আলোর উৎসব দীপাবলি। এই আবহে গোটা বাংলা শক্তির আরাধনা এবং আলোর উৎসবে মেতে উঠবে শহর থেকে গ্রামবাংলা। ইতিমধ্যেই শহরের নানা প্রান্তে কালীপুজো আয়োজন চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে। গ্রামের কালী পুজোয় তো থিমের ছড়াছড়ি অবস্থা। কলকাতার বেশ কয়েকটি কালীপুজোর উদ্বোধন করেছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক বছর তাঁর বাড়িতেও কালীপুজো হয় ঘটা করেই। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। সেখানে জোরকদমে চলছে কালীপুজোর আয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই কালীপুজোর ভোগ রান্না করেন।
এখানে সেদিন এসে থাকেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। রাজ্যপাল থেকে শুরু করে দলের বিধায়ক–সাংসদরা উপস্থিত থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে বলেই জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে সেই আয়োজন এখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বড় করে আয়োজন করা হচ্ছে কালীপুজোর। দলীয় মন্ত্রীরাও সেখানে আসবেন বলে সূত্রের খবর। তার সঙ্গে সেলিব্রিটি থেকে তারকা খেলোয়াড় কেউ বাদ যাবেন না। কালীপুজোর দিন এখানে চরম ব্যস্ততা দেখা যায়। বহু সাধারণ মানুষও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজো দেখতে ভিড় জমান। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের এখানে নিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে গল্প–গানে সময় কাটান।
আবার বাড়ির কালীপুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান নন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গোটা পুজোর তদারকি করেন। তখন তিনি ‘গৃহকত্রী’ মমতা। এখানে যে ভোগ রান্না হয় তার সবটাই নিজে হাতে করে থাকেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাঁর বাড়ির পুজোয় এবার কি থাকছে? সেটা জানতে উৎসুক মানুষজন। মায়ের ভোগের মেনুতে কোন কোন পদ থাকবে? এই প্রশ্নের এখন উত্তর খুঁজছেন সবাই। কালীপুজোর যাবতীয় ব্যবস্থার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই তথা তৃণমূল নেতা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘বার্ধক্য ভাতা নিয়ে প্রতারণা হয়েছে’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নালিশ করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
ঠিক কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই? আযোজন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন। কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘প্রত্যেক বছর যেমন আয়োজন হয় এবারও তেমনই থাকবে। দিদির নির্দেশেই আমাদের বাড়ির কালীপুজো মুক্ত দ্বার। যে কেউ আসতে পারেন। প্রত্যেকবারই নানা রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা আসেন। অসংখ্য সাধারণ মানুষও আমাদের বাড়ির কালীপুজোয় আসেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থাকেন বলে নিরাপত্তার কড়াকড়ি রাখতেই হয়। সারা বছর দিদি প্রশাসনিক কাজে খুব ব্যস্ত থাকেন। এই একটা দিনই আমরা পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কাছে পাই। আর ভোগে থাকছে— খিচুড়ি, লাবড়া, আলু–বেগুনের মতো পাঁচ রকমের ভাজা থাকবে। চাটনি আর পায়েস।’