বালোচিস্তানে চড়ছে মোদীর পারদ দিল্লির প্রতিক্রিয়া কী? ভারতের র নাকি বালোচ বিদ্রোহীদের সাহায্য করছে! কতটা সত্যি এই বয়ান? বালোচ হিন্দুদেরও এখন একমাত্র ভরসা মোদীই। কার্গিল দিবসে পিওকে দখলের ডাক দিতেই নড়েচড়ে বসল বালোচীস্তান। ভারতের থেকে বালোচরা আসলে কেমন সাহায্য চাইছে? বাংলাদেশকে সাহায্য করলে বালোচিস্তানকে কেন সাহায্য নয় ভারতের? মোদী খালি একবার বলুন ভারত বালোচিস্তানের সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তান অত্যাচার বাড়াচ্ছে আর ঠাট্টা করে বালোচদের বলছে মোদীকে ডাকো। পিওকে থেকে ক্ষোভের আগুন বাড়তে বাড়তে এবার তা পৌঁছে গিয়েছে বালোচিস্তান পর্যন্ত। বালোচ মুসলিমদের থেকে কি বালোচ হিন্দুদের ওপর বেশি অত্যাচার হয়?
ইউরোপের ৭টা দেশ ভ্রমণের পর ভারতে এলেন হরিদ্বারে গেলেন মন্দিরে গিয়ে ভগবানের পুজোও দিলেন বালোচিস্তানের নির্বাসিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নায়লা কাদরি। তারপরই তিনি পরিস্কার করে দিলেন। কেন এমূহুর্তে দাঁড়িয়ে ভারত তাদের কাছে এতটা ইমপরটেন্ট?শুনলে অবাক হবেন বালোচকে নিজেদের বলে পাকিস্তান দাবি করলেও, পাকিস্তান সরকারকে মানে না বালোচরা তাদের নিজস্ব সরকার রয়েছে তার প্রধানমন্ত্রী নাইলা কাদির। বিশেষজ্ঞরা বলছে, কার্গিল দিবসে রাজনাথ সিং যখন লাদাখের দ্রাস থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কবজা করার স্লোগান তুলছেন তখন সেই আওয়াজ পৌঁছে যায় স্বাধীনতা জন্য ছটফট করতে থাকা বালোচিস্তানে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে একটাই বার্তা রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন বালোচিস্তান পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা চাইবে তখন ভারত যাতে তাদের পাশে দাঁড়ায়, তাদের হাত শক্ত করে। যে কোনও শর্তে ভারতের সাহায্য পেতে তারা প্রস্তুত। কিন্তু প্রশ্ম হল ভারত কি সেটা আদৌ করবে? নায়লা কাদরির দাবি যদি একবার রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত বালোচিস্তানের নির্বাসিত সরকারকে সমর্থন করে তাহলে এই লড়াইয়ে তাদের শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। পাকিস্তান মোদীর নাম শুনলেই কাঁপতে শুরু করবে এই ইস্যুতে। ২০১৬ সালে লালকেল্লা থেকে বালোচিস্তানে পাকিস্তানের অত্যাচারের ইস্যু তুলে ধরেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে ভারত পাশে থাকবে এমন আশায় বুক বাঁধছে বালোচরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি দিল্লি। আগে দেখা যাক কী হতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়