আর্থিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করছে। আর এই অভিযোগ তুলে আবার সুর সপ্তমে তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন আগেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কালীপুজোর পর একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে আন্দোলনে নামার বার্তা দিয়েছিলেন। এবার আজ, বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করতে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও আজ দাবি করলেন তিনি। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
একদিন আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চিঠি পাঠিয়েছে। তিনি তা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই মতো কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আজ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মনরেগা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের জোরালো আন্দোলন, বিশদ তথ্যগত রেকর্ড এবং অ্যাকাউন্টস জমা দেওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত করছে। একাধিক প্রকল্পের অর্থ তহবিল আটকে রাখা হয়েছে। আর বিভ্রান্ত প্রচার করছে সেটা আমি ধরে ফেলেছি। জনগণকে বোকা বানাতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আর রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।’
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। তখন তিনি বিষয়টি সবিস্তারে জানাননি। তবে এই ন্যায্য পাওনার দাবিতে আগেও বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আওয়াজ আরও জোরালো করতে আগামী ১৬ নভেম্বর দলের সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্ব, বিধায়ক, সাংসদ, গ্রাম সভার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানেই আগামী আন্দোলনের স্ট্র্যাটেজি তৈরি হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তারপরই অলআউট খেলা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা কমান্ডে সম্ভব, হাসপাতালের আবেদনে সাড়া দিল না কলকাতা হাইকোর্ট
তবে নয়াদিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছিলেন। তারপর রাজভবনের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে ৩১ অক্টোবর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেখানে আজ ২ নভেম্বর। এখনও কোনও আন্দোলন দেখা যায়নি। সেখানে মানুষজন অপেক্ষা করে আছেন একশো দিনের বকেয়া টাকা পেতে কোন পথে আন্দোলন হয় দেখার জন্য। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমাদের প্রয়োজন, প্রাপ্য এবং আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মিথ্যা তথ্য ফাঁস হওয়া সত্ত্বেও আমরা অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছি। লজ্জা।’ এবার নভেম্ভর মাস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন যে আরও বাড়বে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।