সোমবার যাত্রীসাথী অ্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণত অন্যান্য ক্যাব অ্যাপগুলিতে কমিশন এবং সারচার্জের ফলে যাত্রাপালা যেমন বেশি থাকে, তেমনই চালকদের আয়ও অনেকটাই কম হয়। তবে রাজ্য সরকারের নিজস্ব এই অ্যাপে কমিশন এবং সারচার্জ নেই। ফলে সকলেই সুবিধা হচ্ছে। গত জুলাই মাসে এই অ্যাপ চালু হলেও সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে কালীঘাট থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি হাজরা মোড়, হাওড়া স্টেশন এবং কলকাতা বিমানবন্দরেও একযোগে ওই অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। চালু হওয়ার পরেই চালক এবং যাত্রীদের মধ্যে এই অ্যাপের চাহিদা বেড়েই চলেছে। শুরুতেই যাত্রীসাথী অ্যাপের মাধ্যমে চালকরা প্রায় ১১ কোটি টাকা আয় করেছেন।
আরও পড়ুন:‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ পরিষেবায় এবার ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি যাত্রীদের, সস্তায় গন্তব্যস্থল
এই সরকারি অ্যাপের উদ্দেশ্য হল স্বচ্ছতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং চালকদের ক্ষমতায়ন করার পাশাপাশি সকলের জন্য একটি সাশ্রয়ী গতির সমাধান প্রদান করা। এই বছরের জুলাই মাসে এই অ্যাপটি প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়েছিল হাওড়া স্টেশনে এবং কলকাতা বিমানবন্দরে। বর্তমানে কলকাতা বিমানবন্দর, হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন ছাড়াও সাঁতরাগাছি, শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন এবং কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন সহ পাঁচটি জায়গায় যাত্রী সাথীঅ্যাপের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে।
অ্যাপটি চালক এবং গ্রাহক উভয়ের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে। ভারসাম্য বজায় রেখে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে অ্যাপ পরিষেবার ক্ষেত্রে। এই অ্যাপে কোনও কমিশন পদ্ধতি না থাকায় চালকরা সঙ্গেসঙ্গে ভাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। গ্রাহকরা কম অর্থ প্রদান করলেও চালকরা আরও বেশি উপার্জন করতে পারে। বেসরকারি সংস্থাগুলি বিভিন্ন সময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিয়ে থাকে। নতুন অ্যাপে এ সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, অ্যাপে যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।
ইতিমধ্যেই সরকারি এই অ্যাপটিকে জনপ্রিয় করতে করতে শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপগুলিতে ব্যানার লাগানো হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরুতেই ৫.৫ লক্ষ যাত্রী পরিষেবা নিয়েছেন। অ্যাপটিতে ৪ লক্ষ ট্রিপ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ১৮ লক্ষ সার্চ হয়েছে। এছাড়াও, ২২০১৪ জন চালক এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।