[ad_1]
শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় ইডি আধিকারিকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে ৩ জনকে সনাক্ত করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিকেলে এক পোস্টে নামসহ তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মমতার মদতেই রোহিঙ্গাদের কসাই হিসাবে ব্যবহার করে সন্দেশখালিতে নিজের সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য কায়েম করেছেন শাহজাহান।
এদিন শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, সন্দেশখালিতে যে চরমপন্থীরা ইডি আধিকারিক, সিআরপিএফ জওয়ান ও সাংবাদিকদের ওপরে হামলার পরিকল্পনা ও প্রয়োগ করেছেন তারা হলেন, শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির, আরেক ভাই শেখ সিরাজউদ্দিন ও কুখ্যাত অস্ত্র পাচারকারী তথা সরবেড়িয়া আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন।
এর পর তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস ও প্ররোচনায় শেখ শাহজাহানের মতো দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য কায়েম করতে রোহিঙ্গাদের কসাই হিসাবে ব্যবহার করছে। NIA-র উচিত এই দেশবিরোধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা।
শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডির আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকিতেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টা শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তখনই বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক শ’ নারী – পুরুষ দুষ্কৃতী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় একাধিক ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। এর পর গাড়িতে করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ গাড়ি থামিয়ে ফের মারধর করা হয় তাঁদের। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অটো রিকশয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা। এর পর এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু হয়।
এই ঘটনার পর রাজ্যপালকে পদক্ষেপ করাতে আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেওয়া উচিত রাজ্যপালের।
এর পর জারি এক অডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, ‘যে ভয়াবহ ঘটনার খবর সন্দেশখালি থেকে পেয়েছি তা উদ্বেগজনক ও অগ্রহণযোগ্য। বর্বরতা ও তাণ্ডব বন্ধ করা গণতন্ত্রে যে কোনও সভ্য সরকারের দায়িত্ব। সরকার তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে সংবিধান তার পথে চলবে। রাজ্যপাল হিসাবে এই ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে আমি আমার সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার সংরক্ষিত রাখছি। পেশিশক্তির প্রদর্শন ও কাগুজে বাঘদের দিয়ে কদমতাল করিয়ে বাংলার মানুষের কোনও উপকার হবে না। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডারাজ শুধু মুর্খের স্বর্গে কাজ করে। বাংলা কোনও বানানা রিপাবলিক নয়। সরকারের তাদের পদক্ষেপ করা উচিত। ভোটপূর্ব এই হিংসা নিশ্চিতভাবে অবিলম্বে অবসান হওয়া উচিত। এই হিংসার দায় শুধুমাত্র বর্তায় সরকারের ওপর। সরকারের উচিত চোখ মেলে বাস্তবকে দেখা এবং যথাযথ পদক্ষেপ করা। নইলে তাদের এর ফল ভোগার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত’।