[ad_1]
আবার রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠল। আর দু’দিন বাদেই হওয়ার কথা কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন। কিন্তু এখানে একটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আমন্ত্রণ করার হয়েছে। তিনি আচার্য। তাই তিনিই প্রধান অতিথি। আর এই অনুষ্ঠান নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর চিঠি দিয়ে ওই অনুষ্ঠান না করার কথা বলে দিয়েছে। ফলে সমাবর্তন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ভাবছেন রাজ্যপালকে আমত্রণ করার জন্য বোধহয় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে নিয়ম না মানায় জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে গেলে বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমতি নিতে হয় উচ্চশিক্ষা দফতরের। সেই অনুমতি কি নেওয়া হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন। জটিলতা তৈরি হওয়ার কারণ কী? জানা গিয়েছে, এই সমাবর্তন কর্মসূচির জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমতি নেওয়া হয়নি। আর তাই চিঠি দিয়ে তা না করার কথা জানিয়ে দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনড়। তাঁদের সিদ্ধান্ত কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন উৎসব হবেই। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে সংঘাত। সুতরাং সমাবর্তন অনুষ্ঠান আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই রঙের উৎসব দোল, পূর্ণিমায় কি খোলা থাকবে মদের দোকান? জানুন
অন্যদিকে আগামী ২৭ মার্চ আসানসোল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হওয়ার কথা। এখানেই উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আর তারপরই উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখে জানিয়েছে,এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। আর আচার্যের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই সমাবর্তন অনুষ্ঠান না করাই ভাল। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রায় ৬ বছর পর এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ছাত্রছাত্রীদের আবেগের কথা ভেবেই আমরাই এই অনুষ্ঠান করছি। অনুষ্ঠান রাজ্যপালের নির্দেশেই হচ্ছে। সেখান থেকে পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়।’
উচ্চশিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখান থেকে চিঠি আসার অর্থ সরাসরি সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হওয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। সব মিলিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্কের মেঘ দানা বাঁধছে। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. সাধন চক্রবর্তীকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বরখাস্ত করেছিলেন রাজ্যপাল। আর রাজ্যপালই নিয়োগ করেন ড. দেবাশিস মুখোপাধ্যায়কে। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। নতুন উপাচার্য এলেও এখানে নানা বিষয়ে বিতর্ক ছিলই। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ।