ডিএ আন্দোলনের মঞ্চ থেকে সরকারি চাকুরেদের মন পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার শহিদ মিনারে ডিএ মঞ্চে হাজির হয়ে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, বামপন্থীদের পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছে বিজেপিও। এমনকী সুপ্রিম কোর্টে আন্দোলনকারীদের পক্ষে আপও আইনজীবী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন শুভেন্দু।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এই রাজ্যের দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি নিশ্চিত, এই লড়াইতে স্যাট, সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চের মতো সুপ্রিম কোর্টেও আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এই লড়াইতে যেমন বিকাশবাবুরা আছেন, সাথে সাথে এই লড়াইয়ে যাতে আপনারা জিততে পারেন সেজন্য আমরা সুপ্রিম কোর্টে প্রথম স্বনামধন্য মীনাক্ষী অরোরা ও বাঁশরী স্বরাজকে দিয়েছিলাম। পরে শেষ শুনানিতে আমরা আরও একজন সিনিয়র ব্যরিস্টার পরমজিৎ পাতিয়ালাকে আমরা দিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস এই আন্দোলনে আপনারা স্যাট, সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চের মতো আপনারা লড়াইতে জিতে আসবেন। তবে বলব, পথই পথ দেখাবে। কথা এক, লক্ষ্য এক, উদ্দেশ এক, হকের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে। দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে আমার বাংলাকে রক্ষা করতে হবে’।
আন্দোলনকারীদের শুভেন্দুর প্রতিশ্রুতি, ‘দিল্লির ধরনা অবস্থান, দিল্লি পুলিশের অনুমতিসহ যা যা সহযোগিতা লাগবে সংগ্রামী মঞ্চকে সব রকম সহযোগিতার অঙ্গীকার আমি জানালাম’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, চোরেদের রানি সারদায় সব থেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন। কোটি কোটি টাকায় ছবি বিক্রি করেছেন। মহাকরণের সামনে দাঁড়িয়ে সুদীপ্ত সেনকে পাশে নিয়ে সারদার পতাকা নেড়ে মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুল্যান্স উদ্বোধন করেছেন। ডেলোর বাংলোয় সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোট পরিচালনায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি শুভেন্দুর অজানা নয়। শুধু পোস্টাল ব্যালট নয়, বুথের মধ্যে ভোট পরিচালনায় সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটে বাজিমাত করতে হলে সরকারি কর্মচারীদের পাশে পাওয়া দরকারি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। একটি বাদে সমস্ত কেন্দ্রে পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। শুভেন্দুর কসরৎ সেই দিন ফেরাতে পারে কি না সেটাই দেখার।
বৃহস্পতিবার শহিদ মিনার ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমাবেশের পালটা সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। চ্যালেঞ্জ ছিল অভিষেকের সভার বেশি লোক মাঠে জমায়েত করা। এদিনের সভায় হাজির ছিলেন আন্দোলনকারীদের প্রধান আইনজীবী তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ছিলেন কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচী।