Home আপডেট ‘‌সিএজি রিপোর্ট সঠিক নয়’‌, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নিয়ে দাবি খারিজ মুখ্যসচিবের

‘‌সিএজি রিপোর্ট সঠিক নয়’‌, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নিয়ে দাবি খারিজ মুখ্যসচিবের

‘‌সিএজি রিপোর্ট সঠিক নয়’‌, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট নিয়ে দাবি খারিজ মুখ্যসচিবের

[ad_1]

কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (‌ক্যাগ)‌ রিপোর্টে তোলা অভিযোগ খারিজ করে দিল রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার নবান্নে রাজ্যের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ খরচের শংসাপত্র বা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই রিপোর্টে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার নবান্নে আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‌সিএজি রিপোর্টে বহু অসঙ্গতি রয়েছে। রাজ্য সরকার এই রিপোর্ট মানছে না। বরং খারিজ করা হচ্ছে।’‌

এদিকে আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার যে দাবি করছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। সমস্ত ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে। তা না হলে পরের টাকা ছাড়ল কিসেন ভিত্তিতে?‌ প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। আর আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা বলেন, ‘ওই সিএজি রিপোর্ট রাজ্য সরকার মানতে পারছে না। মোট ৮টি দফতরের কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। তাতে দু’লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার কথা বলা হচ্ছে। সেটাতে একটি ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। কারণ, ২০০২–০৩ সাল থেকে ২০ বছরের হিসাব ধরে বলা হচ্ছে ২০২১ সালের রিপোর্ট। তাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এটা পরিষ্কার করা দেওয়া হচ্ছে যে এটা ২০ বছরের হিসাব।’

অন্যদিকে সিএজি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানের এক লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচের শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি। আর সংসদে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রধানমন্ত্রীকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা কবে মিলবে জিজ্ঞাসা করেন, তখন এই সিএজি রিপোর্ট দেখার নিদান দেন মোদী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে দাবি, ২০০২–০৩ থেকে বামফ্রন্ট জমানার হিসাব রয়েছে। সেই হিসাব কেন চাওয়া হচ্ছে?‌ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল।

আরও পড়ুন:‌ রসুনের দাম বাড়ল আকাশছোঁয়া, কলকাতার বাজারে ৬০০ ছুঁল রসুন, নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের

এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি চিঠি রাজ্যের হাতে এসেছে। যেখানে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট বাকি নেই। অথচ না পাওয়াকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি। এবার এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আজ বলেন, ‘‌এখন প্রশ্ন হল, ২০ বছর ধরে যদি ইউসি না দেওয়া হয় তা হলে সিএজি থেকে আমাদের এজি এবং যাঁরা অডিট করেন, তাঁদের বলতে পারতেন যে এই বছর ইউসি পেন্ডিং আছে। তাই এই ব্যাপারে প্রয়োজনে আমরা আলোচনা করব। সিইজি রিপোর্ট মানতে পারছি না। কারণ, এটা ঠিক রিপোর্ট নয়। সমস্ত দফতরের সেক্রেটারি ইউসি নিয়ে বসে আছেন।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here