[ad_1]
সিনেমা, সিরিয়াল ও ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ের জন্য ভাড়া দিয়ে বিপুল আয় করছে রেল। তাই এবার আরও সংগঠিত ভাবে কলকাতা ও শিয়ালদহ স্টেশন শুটিং-এর জন্য ভাড়া দিতে চাইছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। অনলাইনের মাধ্যমে স্টেশন ভাড়ার জন্য একটি পোর্টালও চালু করা হচ্ছে।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে শুটিং-এর জন্য বাবদ রেলের আয় হয়েছে, ৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আবার ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই আয় বেড়ে হয়১৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে শুটিং বাবদ রেলের আয় হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা।
যাত্রী সংখ্যা ও গুরুত্বের নিরিখে রেল স্টেশনগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। সেই ভাগ অনুযায়ী শুটিং-এর জন্য ভাড়াও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। প্রথম শ্রেণির স্টেশনে শুটিং করতে গেলে লাইসেন্স ফি ২ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় শ্রেণির স্টেশনে লাইসেন্স ফি দেড় লক্ষ টাকা এবং তৃতীয় শ্রেণির স্টেশনে লাইসেন্স ফি এক লক্ষ টাকা। স্টেশনের পাশাপাশি শুটিং-এর জন্য সাধারণ রোলিং স্টক নিলে দিতে হবে ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা। রোলিং স্টকে কোনও বিশেষ ব্যবস্থা চাইলে দিতে হবে ৭ লক্ষ টাকা। স্টেশন ও রোলিং স্টক নিলে ভাড়া দিতে হবে ১৫ লক্ষ টাকা।
(পড়তে পারেন। দুর্ঘটনা, যানজট কমাতে কার্যত কলকাতায় ট্রাম তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল পুলিশের)
এছাড়া প্রযোজক সংস্থা বিমা করে। রোলিং স্টকে ১০ কোটি, স্টেশনের জন্য ২ কোটি। এ ছাড়া স্টেশনে যারা শুটিং থাকেন তাদের মাথা পিছু ১ লক্ষ টাকা করে বিমা করা থাকে।
তবে আয় হলেও রয়েছে শঙ্কা। এক রেল কর্তা জানিয়েছেন, আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে, শুটিং করার জন্য ভাড়া দিয়েও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় রেলকে। বেশ কয়েক বছর আগে অনিল কাপুর শুটিং করেছিলেন হাওড়া স্টেশন। সেই শুটিং দেখতে গিয়ে শ’য়ে শ’য়ে যাত্রী ভিড় করেছিলেন। অনেকে ক্যাবওয়েতে রাখা গাড়ি মাথায় চড়ে পড়েন। ফলে অনেক গাড়ির ছাদ দুমড়ে যায়। তার নিয়মত শুটিং শুরু হলে এই সমস্যা পুনরাবৃত্তি হতেই পারে বলে মনে করছেন রেল কর্তারা।