যুক্তরাষ্ট্রের অহংকার ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার রেডিও ইলেকট্রনিক সিস্টেমের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারছে না ‘অজেয়’ পশ্চিমা অস্ত্র হিমার্স। ইলেকট্রনিক যুদ্ধে এগিয়ে রাশিয়া, টিকছে না আর্টিলারিও। তবে কি যুদ্ধে হার মানতে শুরু করলো ইউক্রেন? রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ কি দিনে দিনে প্রযুক্তির যুদ্ধ হয়ে উঠছে? রাশিয়ার রেডিও ইলেকট্রনিক সিস্টেম ঠিক কতটা শক্তিশালী? কেন রাশিয়াকে ভয় পেতে শুরু করেছে ইউক্রেন? যুদ্ধের মোড় কী রাশিয়ার দিকেই ঘুরিয়ে দিচ্ছে খতরনাক ইডাব্লিউ সিস্টেম? কনফিডেন্স হারাচ্ছে ইউক্রেন, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
রাশিয়ার কাছে অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক সমরাস্ত্র রয়েছে। যে শক্তিশালী রেডিও ইলেকট্রনিক সিস্টেমের জন্য ইউক্রেন বাহিনীকে খুঁজে বের করে হামলা চালানো সহজ হয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার কাছে। ইউক্রেন বলছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভয়ংকর হিমার্স রকেট আটকে দিচ্ছে রাশিয়ার এই সিস্টেম। আটকে দিচ্ছে জিপিএস সুবিধা ব্যবহারকারী আর্টিলারির হামলাও। মোদ্দা কথা, হিমার্স সহ অন্যান্য অস্ত্রের গতিপথ সহজেই ট্র্যাক করে ফেলছে রুশ রেডিও ইলেকট্রনিক সিস্টেম। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ দিন, মাস, বছর অনুযায়ী যত লম্বা হচ্ছে; ইলেকট্রনিক যুদ্ধের নানা কৌশলের সুবাদে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ততই বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর দিনগুলোর চেয়ে এখন রণাঙ্গনে বড় ভূমিকা পালন করছে রাশিয়ার ‘ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার’ মানে ইডব্লিউ সিস্টেমগুলো। ন্যাটোর পাঠানো রেডিওর সংকেত সহজেই শনাক্ত করে ফেলছেন রাশিয়ার অভিজ্ঞ ইডব্লিউ–চালকেরা।
এই কাজে রাশিয়াকে সাহায্য করছে অতীত অভিজ্ঞতা। এর আগে রুশ ইডব্লিউ–চালকেরা সিরিয়ায় তাঁদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। যা এখন ইউক্রেনের মাটিতে কাজে লাগছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক যুদ্ধে ইলেকট্রনিক সমরাস্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সামরিক বাহিনী রেডিও, রাডার ও ইনফ্রারেড ডিটেক্টরের ওপর নির্ভর করে অপারেশন সমন্বয় করে। শত্রুকে খুঁজে বের করতেও ইলেকট্রনিক পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়। আর এই ইডব্লিউ সিস্টেমগুলোই যুদ্ধে রাশিয়াকে এগিয়ে রাখছে, যেটা অলরেডি প্রমাণিত। ইউক্রেন বুঝে গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দিনে দিনে প্রযুক্তি নির্ভর যুদ্ধ হয়ে উঠছে। ইউক্রেনের মিত্রদের দেওয়া যে প্রযুক্তিই তারা ব্যবহার করুক না কেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে অধিকাংশ সময় সেগুলো ফেইল করছে। রণাঙ্গনে কুলকিনারা পাচ্ছে না ইউক্রেন। তাই, বাধ্য হয়ে বিশ্বের কাছ থেকে আরও বেশি সামরিক সহায়তা প্রত্যাশা করছে কিয়েভ। নাহলে, পাল্টা আক্রমণে টিকে থাকা জেলেনেস্কির জন্য যে কঠিন হয়ে উঠবে তা নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়