একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায় নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই নয়াদিল্লি থেকে ফিরে রাজভবনের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা ছিল ৩১ অক্টোবর। সদুত্তর না পেলে ১ নভেম্বর থেকে ফের আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। আজ সেই ১ নভেম্বর। তবে আন্দোলনে নামার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে। সেই চিঠি আবার তিনি আজ, বুধবার পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে চাপে পড়েই এই চিঠি।
এদিকে ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন দাবি ছিল, একশো দিনের কাজে কেন্দ্রের বকেয়া আদায়। সেই মর্মে চিঠিও দিয়েছিলেন। রাজ্যপাল সেই চিঠি পরদিনই পৌঁছে দেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এমনকী একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়া হোক বলেও আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই টাকা এসে পৌঁছয়নি। একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে আজ কোনও আন্দোলন শুরু হয়নি। তাহলে কবে শুরু হবে আন্দোলন? সেটা জানায়নি তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একটি চিঠি পেয়েছেন। এই চিঠি একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা নিয়ে লেখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল আজ সেই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে এই চিঠি পাঠানোর কথা রাজ্যপাল নিজেই জানালেন সাংবাদিকদের। কী লেখা আছে সেই চিঠিতে? এই বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কিছু জানাননি। তবে তিনি চিঠির বিষয়বস্তু জানেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে কোন পথে হাঁটে তৃণমূল কংগ্রেস এখন সেটাই দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসের শুরুতেই নবান্নে বসবে মন্ত্রিসভার বৈঠক, দীপাবলির আগে বড় সিদ্ধান্ত
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? আজ, বুধবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই চিঠির বিষয়টি খোলসা করেন। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির প্রেক্ষিতে উত্তর এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে। সেই চিঠি মিলেছে। আর সেটা আমার সাংবিধানিক সহকর্মী, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে। সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’