বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে শুরু হয়েছে একটি তান্দুর হাব ‘জুন মুন’। জুন মুনের বিশেষত্ব হচ্ছে যে এটি একটি ওপেন এয়ার ধাবা অর্থাৎ, মুক্ত আকাশে জমিয়ে পেটপুজোর আয়োজন রয়েছে সেখানে।
জুন মুনের প্রত্যেকটি কেবিন এবং বসার জায়গা তৈরি বাঁশ দিয়ে। একদম জৈব উপাদান দিয়ে তৈরি বলে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয় জুন মুনের ভিতরে। এবং রাতে থাকে ময়াবী আলো। একেবারে শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশ অবস্থিত এই তান্দুর হাবে শীত পড়লেই পর্যটকদের ভিড় জমে তন্দুরি আইটেম খাওয়ার জন্য। তন্দুরি রুটি হোক বা তন্দুরি চিকেন, সবকিছু বানাতে পটু এখানকার স্পেশ্যাল কুক বাদল দাস। বাদল একা হাতেই পুরো তন্দুর বিভাগ সামলাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ‘বুদ্ধবাবুর এবারের লড়াইটা খুবই কঠিন ছিল! কিন্তু উনি তো ফাইটার, ব্যক্তিত্বটাই আলাদা’
বর্ষাকাল এসেছে এবং বর্ষাকালকে বলা হয় পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে আসার জন্য “সফট সিজন।” ঝিরিঝিরি বর্ষায় মনোরম শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে বসে নিজের পছন্দের তন্দুরি খাবারের উপভোগ করার মজাই আলাদা। বিগত কয়েক মাস ধরে শুশুনিয়া ঘুরতে আসা পর্যটকদের তন্দুরের স্বাদ মেটাচ্ছেন জুন মুনের বাদল। তন্দুর ছাড়াও এখানে সব রকমের খাবার, যেমন চাইনিজ থেকে ইন্ডিয়ান, সবই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ‘কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি’, স্কুলে বাংলা বাধ্যতামূলক বিতর্ক মেটালেন মুখ্যমন্ত্রী
জুন মুনের মালিক জানান, ‘বাদলকে আমরা অনেক কষ্ট করে পেয়েছি, বাদল বাংলার বাইরে কাজ করত। ওঁর হাতের রান্না দারুণ ভাল। শুধু আমরা নয় যারা পর্যটকরা আসেন, তাঁরা ওই কথাই বলেন।’
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
Tags: Bankura news, Food