মানব শরীরে বাসা বাঁধছে সালমোনেলা। ইতিমধ্যেই ৪৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। একজনের মৃত্যুও হয়েছে।বেশির ভাগ আক্রান্তকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আক্রান্তদের অনেকেরই বয়স পাঁচ বছরের নীচে। এই রোগে সাধারণত শিশুরাই আক্রান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে।ওকলাহোমায় সংক্রমণের জেরে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অসুস্থদের প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন শিশু, যার বয়স ৫ বছরেরও কম।
এই রোগে সংক্রামিত ৮৬ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বুধবার ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর তরফে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ৪২টি প্রদেশ থেকে এই খবর এসেছে। গত বছরও এই সময়ে একই নামের লোকেদের অসুস্থ হওয়ার খবরও রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮৬ জনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাড়িতে হাঁস মুরগি প্রতিপালন করে পোলট্রি ফার্ম খোলা একটি অতি পছন্দের এবং জনপ্রিয় শখ হয়েছে বর্তমানে। অনেকেই বাড়িতে মুরগি-হাস পোষেন ব্যাকইয়ার্ডে। আর সেখান থেকেই সম্ভবত ছড়াচ্ছে এই রোগ। মানুষের খাবার কী ভাবে তৈরি হচ্ছে সেটা দেখার উত্সাহ থেকেও অনেকে এই হাস-মুরগি প্রতিপালন করে থাকেন।
মুরগি বা এ ধরনের প্রাণির ক্ষেত্রে হজম সংক্রান্ত শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিতে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া। এটি খুব সহজেই প্রাণীর খাবার বা জল থেকে ছড়ায়। অনেক সময় এই ব্যাকটেরিয়া তাদের মল, পালক কিংবা ডিমের মধ্যে থাকে। সেখান থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই ব্যাকটেরিয়া।
তাই পোষা মুরগীদের আদর করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। তাদের গায়ে হাত দেওয়া থেকেই এই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এই ব্যাকটিরিয়া সাধারণত মানুষের পাচনতন্ত্রে আক্রমণ করে। ফলে, ফলে পেটের মোচড়, ডায়েরিয়া বা কখনও তা গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। বেশিরভাগ সময় বাচ্চাদের মধ্যে বেশি ছড়ায় এই রোগ। সেক্ষেত্রে এই ফার্মে যাওয়ার জন্য আলাদা পোশাক ও জুতো ব্যবহার প্রয়োজন।