বিক্ষোভরত কৃষকদের শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি দিল পুলিশ। কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে সোচ্চার কৃষকরা। উত্তর পশ্চিম দিল্লি বুরারি এলাকায় কৃষকদের যেতে ছাড়পত্র দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।প্রবল ঠান্ডার মধ্যে জল কামান ব্যবহার করা হয়েছে৷ ক্রমাগত ফাঁটানো হয়েছে টিয়ার গ্যাসের শেল৷ ভিজে জুবুথুবু হয়েছেন, চোখে জ্বলুনি ধরেছে, তবু পিছু হঠেননি বিক্ষোভকারী কৃষকরা৷ একটাই লক্ষ্য ছিল দিল্লিতে পৌঁছনো৷হরিয়ানা- পঞ্জাব সীমান্ত, হরিয়ানা- দিল্লি সীমান্তে বার বার ব্যারিকেড করে কৃষকদের আটকাতে নানা চেষ্টা করেছে পুলিশ৷ কিন্তু হাজার হাজার কৃষককে থামাতে পারেনি পুলিশ৷ বৃহস্পতিবার দিল্লি পৌঁছে যান কয়েক হাজার কৃষক৷ নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদেই দিল্লি অভিযান তাঁদের৷ অবশেষে কিছুটা হলেও নতিস্বীকার করতে বাধ্য হলে কেন্দ্রীয় সরকারও৷ আপাতত দিল্লির বুরারি এলাকার নিরঙ্কারি ময়দানে তাঁদের জমায়েত করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ৷ হাজার হাজার কৃষকের ভিড়ে দিল্লি গুরুগ্রাম সীমান্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল৷ কৃষকদের নাছোড় মনোভাবে ক্রমশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কাও ছিল৷ ফলে বাধ্য হয়েই কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দিল পুলিশ৷দিল্লি পুলিশের তরফে আপ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল, দিল্লির ন’টি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেলে পরিণত করার অনুমতি দেওয়া হোক৷ কিন্তু সেই অনুমতি দিতে রাজি হয়নি অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকার৷ অনেক আপ বিধায়কও এই অনুমতি না দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন৷দিল্লিতে প্রবেশের আগে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারী কৃষকরা৷ কিন্তু দিল্লি পৌঁছনোর বিষয়ে অনড় ছিলেন তাঁরা৷ কৃষকদের হরিয়ানা পুলিশ দিল্লি যেতে বাধা দেওয়ায় কথার লড়াইতে জড়িয়ে পড়ে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা সরকারের৷ দিল্লি আসার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ধান্না সিং নামে এক কৃষকের৷ আরও দু’ জন আহত হয়েছেন৷ শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ চলবে, এই শর্তে কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ৷ কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং৷ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, অবিলম্বে বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের৷