Home আপডেট “ভ্যাকসিন, রেশন দিচ্ছে কেন্দ্র, তাই পেট্রোল-ডিজেল কিনে পয়সা ভরুক জনগণ” অদ্ভুত যুক্তি মন্ত্রীর

“ভ্যাকসিন, রেশন দিচ্ছে কেন্দ্র, তাই পেট্রোল-ডিজেল কিনে পয়সা ভরুক জনগণ” অদ্ভুত যুক্তি মন্ত্রীর

“ভ্যাকসিন, রেশন দিচ্ছে কেন্দ্র, তাই পেট্রোল-ডিজেল কিনে পয়সা ভরুক জনগণ” অদ্ভুত যুক্তি মন্ত্রীর

 যেমন প্রধানমন্ত্রী তেমনই তাঁর মন্ত্রীবর্গ। কার্যত নিজেদের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও ঘুরপথে মেনে নিচ্ছেন সকলেই। ভুল নীতির জন্য দেশের অর্থনীতি ডুবছে , কোষাগারে নেই টাকা। অপরিকল্পিত লকডাউন, করোনার সঙ্গে লড়তে ‘পি এম কেয়ার’ ফাণ্ডের টাকায় অক্সিজেন আর ভ্যাকসিন না কিনে বিজেপি পার্টি ফাণ্ডে দেওয়ার মাশুল গুনছে সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকদিন বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, ভর্তুকি নেই রান্নার গ্যাসের। কিন্তু কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই কেন্দ্রের। বারবার বিশ্ব বাজারের ক্রুড ওয়েলের দামবৃদ্ধির দিকে আঙুল তুলেছেন কিংবা ভারতীয় তেল সংস্থাগুলির দামবৃদ্ধির কথা বলে দায় সেরেছেন কিন্তু আজ সত্যিটা স্বীকার করেছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘জ্বালানির দাম বাড়ার একটাই কারণ, আমাদের সরকার অনেক জনকল্যাণ মূলক কাজ করছে। তাই খরচ হচ্ছে, যেমন ধরুণ ভ্যাকসিন বানাতে ৩৫,০০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনায় খরচ হয়েছে এক লক্ষ কোটি টাকা। এতে গরীবদের রেশন দেওয়া হচ্ছে, এই কঠিন সময়ে। কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের জন্য খরচ করা হয়েছে কয়েকলক্ষ কোটি টাকা। এইজন্যই আমরা জ্বালানির দাম বাড়িয়ে পয়সা কোষাগারে আনছি।’ কার্যত মুখ ফস্কে সত্যিটা বলে বসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

যদিও এদিন পাল্টা রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের দুই অ-বিজেপি সরকারকে প্রশ্ন করেছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান সরকারের উচিত রাজ্যের ট্যাক্স কমানো। আমি রাহুল গান্ধিকে প্রশ্ন করব কেন কংগ্রেসি সরকার আছে যে রাজ্যে সেখানে জ্বালানির দাম বেশি। যদি কংগ্রেস গরিবদের নিয়ে এতটাই ভাবেন তাহলে কেন ওইসব রাজ্যে ট্যাক্স কমাচ্ছেন না?’ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আলাদা আলাদা কর নীতির জন্যই আজ জ্বালানির দামে তারতম্য রয়েছে। মুম্বই ও রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে ১০০ পার করেছে পেট্রোল। দেশে প্রতিদিন জ্বালানির দামের তারতম্য হওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের।