শুক্রবার তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। নিজের পুরানো দলে ফিরে শুক্রবার রাত থেকে বিজেপি ভাঙানোর খেলায় নেমে পড়েছেন চাণক্য। তবে বিজেপি ছাড়তে আগের থেকেই পা বাড়িয়ে থাকা কিছু নেতা শুধুমাত্র মুকুলের দলবদলের দিকে তাকিয়ে ছিল। সেই সমস্ত নেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সুনীল সিং। বিধানসভা নির্বাচনে হারলেও তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করছেন তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে।
মুকুল রায়ের হাত ধরেই ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন সুনীল। আর সেই খবর ছড়াতেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সুনীল সিং-এর এলাকা গারুলিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে পোষ্টার পড়েছে সেই জায়গায়। গতকালই সুনীল সিংকে তৃণমূলে না ফেরানোর দাবি জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে গারুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি। তাদের তরফে জানানো হয়, সুনীল সিং তোলাবাজ তাঁকে দলে নেওয়া উচিত হবে না। তারপরেও গারুলিয়া জুড়ে পড়েছে বহু পোষ্টার। সেখানে দাবি করা হয়েছে নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং দুর্নীতি গ্রস্ত, তোলাবাজ তাঁকে আর দলে নেওয়া ঠিক হবে না।
হাওড়ায় আবার রাজীব বম্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সবমিলিয়ে দলত্যাগী নেতাদের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হতেই দলের অন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ।
সোমবার সকালে বাগদার হেলেঞ্চাতে থানার সামনে, রাস্তার ডিভাইডারে, বিভিন্ন দোকানের সামনে পোস্টার পড়ে। সেই পোস্টারে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে ‘মীরজাফর’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, “মীরজাফরের স্থান নেই তৃণমূলে। বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা তুলত এখান থেকে। গরু পাচারকারী স্মাগলার বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে কোনও স্থান নেই।” পোস্টারের নিচে লেখা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীবৃন্দ। যদিও এই পোস্টারের দায় নিতে চায়নি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বরং বিজেপির ঘাড়েই এই পোস্টারের দায় চাপিয়েছেন বাগদা পশ্চিমের তৃণমূল সভাপতি অঘোরচন্দ্র হালদার। তিনি বলেন, “পোস্টার আমি দেখিনি। তবে আমাদের দলের কেউ এই পোস্টার দেয়নি। মনে হচ্ছে বিজেপি-র দলীয় কোন্দল এটা।” এ নিয়ে বাগদার বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।