পঞ্চায়েত ভোট চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে। বুথে যত ভোটার তার চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন শাসকদলের প্রার্থী। তাও আবার একজন নয়, তিনজন। এই ব্যাবধান দেখে হতবাক বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
মামলার বিষয়ও এটাই। বুথের মোট ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন তিন তৃণমূল প্রার্থী। এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মহম্মদ নুরউদ্দিন সহ কয়েকজন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা ওঠে। সব শুনে অবাক হয়ে যান বিচারপতি। অভিযোগ সত্যি কি না? যদি সত্যি হয় তবে তা কী করে সম্ভব হল তা জানতে চেয়ে হাবড়া ২ ব্লকের বিডিওর কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই রিপোর্ট বিডিও এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
(পড়তে পারেন। SSC-র ধাক্কা! ববিতার মামলায় বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে)
মামলাকারীরা অভিযোগ করেছেন, হাবড়া ২ ব্লকের মালিবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তিন তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট লিস্টে মোট ভোটার সংখ্যার চেয়ে বেশি। মামলাকারীদের দাবি অনুযায়ী পঞ্চায়েতের ৮৩ নম্বর পার্টে মোট ভোটার ১৪৪৮। অথচ সেখানে তৃণমূল প্রার্থী রোকেয়া বিবির প্রাপ্ত ভোট ১৫৩০। অন্য একটি বুথে মোট ভোটার সখ্যা ১৫৩৯। সেখানে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী জেসমিনা খাতুনের প্রাপ্ত ভোট ১৬৩১। আবার একটি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪৮১, সখানে তৃণমূল প্রার্থী মোট প্রাপ্ত ভোট ১৭৮২।
এই তথ্য তুলে ধরে মামলাকারীর আইনজীবী জানতে চান, কমিশনের তৈরি করা ভোটার লিস্টের বাইরে কী করে বাড়তি ব্যালট বাক্সে ঢুকল? তবে কি কারচুরি হয়েছে ভোটের সময়? আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বিডিও এবং কমিশনকে এই নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবারই নিউ টাউনের জ্যাংড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের একটি বুথে তৃণমূল প্রার্থীর অস্বাভাবিক ব্যবধানে জয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। তিনি কমিশনের রিপোর্ট তলব করেন। অথচ ওই বুথে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল গ্রামবাসীরা। তার পরে সেখানে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়ে। কী করে এতো ভোট পড়ল তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি।
পর দিন কার্যত একই ধরনের মামলায় কমিশনের কাছে বিরোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।