।। সুচিত্রা রায় চৌধুরী ।।
China Nepal: চিনের কথা রিজেক্ট করে দিল নেপাল বেজিংয়ের বিরুদ্ধে সাহসী ঘোষণা। দহলের ওপর এমন কি জাদু করলেন মোদী? শি জিনপিংয়ের ওভার কনফিডেন্স, মুখ থুবড়ে পরছে মাস্টারস্ট্রোক। চিনকে টপকে এই সেক্টরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হল ভারত। নেপাল যেভাবে পাল্টি খেল চিনের মাথায় হাত৷ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লসের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নেপালে নাকি শুরুই হয়নি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্টের কাজ। এটা কোনও ভুয়ো খবর নয় নেপালের সংসদে দাঁড়িয়ে। স্পষ্ট একথা বলে দিয়েছেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী এনপি সউদ।
চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্ট আসলে কি? জেনে রাখুন। কীভাবে এই একটা প্রজেক্ট দিয়ে ঋণের জাল বুনেছিলেন শি জিনপিং। নেপাল কি এভাবেই বেজিংয়ের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে? এই জল্পনার মধ্যে ভারত শোনাল সুখবর৷ চিনের লংজাম্পে পিছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়কপথের খেতাব পেল ভারত। সংবাদ সংস্থাগুলি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর ৫৯ শতাংশ বেড়েছে ভারতের রাস্তাঘাটের চেহারা। ৪ লেন ন্যাশনাল হাইওয়ে ২০১৩-১৪ সালে ছিল ১৮,৩৭১ হাজার কিলোমিটার। ৯ বছরে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪,৬৫৪। একটা খবর এমূহুর্তে বিভিন্ন ইংরেজী সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে। চিনের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বড় ধস যার সরাসরি এফেক্ট বেজিংয়ের অর্থনীতিতে পড়ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দাবি শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্ট কার্যত ব্লান্ডার হয়ে যাচ্ছে। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) হ’ল সমুদ্রবন্দর, রেলপথ, সড়কপথ এবং শিল্প নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চীনকে আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার সাথে সংযুক্ত করার একটি প্রজেক্ট। এটিকে OBOR (One Belt One Road) বা One Belt China ও বলা হয়।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পররাষ্ট্রনীতির নাকি মাস্টারস্ট্রোক ছিল এই প্রজেক্ট৷ যা আপাত দৃষ্টিতে এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মনে করে দেখুন নেপালের প্রধানমন্ত্রী যখন ভারতে এসেছিলেন মোদীর কাছে তার আবেদন ছিল পোখরা বিমানবন্দর থেকে ভারতের এয়ারস্পেস খুলে দেওয়া। কিন্তু ভারত সেই আবেদন রিজেক্ট করে কারণ পোখরা বিমানবন্দর বিআরআই প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত কিন্তু নেপাল খেল পুরোপুরি পাল্টি। পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হল পোখরা বিমানবন্দর বিআরআই প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নেপাল জানাল ২০১৭ সালে বিআরআই প্রজেক্ট সাইন করার পর এখনও নেপালে এই সংক্রান্ত কোনও কাজ শুরু হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা চিনের কাছে বড় ধাক্কা কারণ কয়েকদিন আগই বেজিংয়ের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল পোখরা এয়ারপোর্ট বিআরআইয়ের মধ্যে পড়ে।
তথ্য বলছে ২০১৩ থেকে ২০২২ ১৪৬টি দেশ BRI-তে স্বাক্ষর করেছে। পাকিস্তান-নেপাল রয়েছে এর মধ্যেই কিন্তু খাতায় কলমে সইসাবুদ হলেও গ্রাউন্ডে কাজ কতটা হয়েছে এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন এখন পর্যন্ত এক হাজার বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেছে চিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইকুয়েডর থেকে গাম্বিয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশে বিআরআই প্রকল্পের ত্রুটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ইকুয়েডরের ২.৭ বিলিয়ন ডলারের একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প প্রধানতম সেটিতে এত বেশি ত্রুটি পাওয়া গেছে যে পুরো প্রকল্পটি বাতিল করতে হতে পারে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সবথেকে বড় দাবি, বিআরআই প্রকল্পের ত্রুটি সবথেকে বড় কারণ অনেক দেশই মনে করছে চিন এই প্রজেক্টের ট্র্যাপে ফেলে জবরদস্তি ঋণ চাপিয়ে দেয়। ফলে শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের জন্ম হবে। ভারতও কি নেপালকে সেটাই বুঝিয়ে ছিল? কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী ভারতে এলেন, একাধিক বৈঠক করলেন। সেখান হয়ত ভারত নেপালকে সুপথ দেখাতেও পারে যে শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা নেপালের করে দিতে পারে চিন এবার দেখার নেপালের চিনকে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
