সোমবার মে দিবস। অনেকের কাছেই নির্ভেজাল ছুটির দিন। কিন্তু বামপন্থী দলগুলির কাছে এই দিনের তাৎপর্যই আলাদা। ক্ষমতায় থাকাকালীন এই মে দিবসে লাল পতাকায় মুড়ে যেত গোটা বাংলা। পাড়ায় পাড়া গণসংগীত। কিন্তু সেই আবহ আর নেই। তবে এদিন ফের মে দিবসকে কেন্দ্র করে কিছুটা ভিন্ন ছবি দেখা গেল বাংলায়।
অনেকের মতে মে দিবসের কর্মসূচিকে সামনে রেখে এদিন যেন আচমকাই জেগে উঠেছিলেন বামেরা। জেলায় জেলায় মিছিল। পার্টি অফিস উদ্ধারের চেষ্টা হয়েছে পুরোদমে।
শিলিগুড়ি একটা সময় বামেদের দুর্গ বলেই পরিচিত ছিলেন। এদিন শিলিগুড়িতে বিরাট মিছিল বের করেন বাম নেতৃত্ব । চা বাগান থেকে প্রচুর শ্রমিক লাল পতাকা নিয়ে রাজপথে বের হয়েছিলেন। অনেকেই একেবারে উৎসবের মেজাজে ছিলেন। মাদলের তালে পা মেলান তারা। দীর্ঘ পথ পরিক্রমা করে মিছিলটি। গোটা বাংলা জুড়ে বামেদের ক্ষমতা তলানিতে হলেও এদিন শিলিগুড়ির মিছিল ছিল যথেষ্ট জাঁকজমকপূর্ণ।
এদিকে দমদমের সেভেন ট্যাঙ্কস লেনে মে দিবসে আবার অন্য় ছবি। সেখানে বামেরা দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারে যান বাম কর্মীরা। কাশিপুর বেলগাছিয়া এরিয়া কমিটির সদস্যরা এই কাজে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এদিকে সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের ঝামেলা বাঁধে বলে খবর। পালটা রাস্তায় নামেন তৃণমূল কর্মীরা। তাদের দাবি সিপিএম জোর করে পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা করছে। এটা হতে দেব না। দুপক্ষের মধ্য়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। কয়েকজন বাম কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।
বাম নেতৃত্বের দাবি, আমরা পতাকা উত্তোলন করেছি। শহিদ বেদিতে মাল্যদান কর্মসূচি পালন করেছি। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন এসে বাঁধা দেয় বলে অভিযোগ। পার্টি অফিসের সামনে রীতিমতো লাল পতাকা টাঙিয়ে ফেলেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। পরে তা গিয়ে খুলে দেয় তৃণমূল।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আবার অন্য় ছবি। এখানে নাটাপুকুরে সিপিএমের পতাকা পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শহিদ বেদিও ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে এবার এই অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি সিপিএমের এলাকায় কোনও প্রভাব নেই। তারা প্রচারে থাকার জন্য় এসব করছেন। নিজেরাই নিজেদের পতাকা তারা ফেলে দিয়েছে। এখন তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। তবে মে দিবসের দিন একটা প্রশ্ন বারে বারেই উঠছে রেড ভলান্টিয়াররা গেলেন কোথায়?