এবার বিধানসভায় ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবি তুলে সরগরম করে তোলেন অধিবেশন কক্ষ। কিছুদিন ধরে রাজ্য সরকারের একাংশ কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ’র দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন। রাস্তায় বসে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু তার মধ্যেই রাজ্য সরকার কিছুটা ডিএ দিয়ে দেয়। তারপরও আন্দোলন থামেনি। এবার সেই আন্দোলনকে বিধানসভায় নিয়ে এলেন বিরোধী দলনেতা।
আজ, মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বেস কয়েকটি দাবি তোলেন। তার মধ্যে সম কাজে সম বেতন, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন কাঠামো তৈরি, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী রাজ্য সরকার অনুমোদিত কয়েক লক্ষ পদ খালি রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। কিন্ত নিয়োগ হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘মেধাবীরা রাস্তায় বসে আছে। সরকার আলোচনা করে সমস্যা মেটাক। সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা কষ্টে রয়েছেন। চাষিরা দাম পাচ্ছেন না এবং ফড়েরা দালালি করছে।’
এদিকে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এবার সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার দাবি তুলে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার অধিবেশনের উল্লেখ পর্বে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সওয়াল করেন। সরকারি কর্মচারীদের সর্বস্তরের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হন। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা দিতে হবে। এছাড়া নানা ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো এবং সম কাজে সম বেতন চালু করতে হবে। রাজ্য সরকার অনুমোদিত কয়েক লক্ষ পদ খালি থাকলেও নিয়োগ হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ‘আমায় লিখিত জবাব দিতে হবে’, সুব্রত বক্সির নির্দেশ জানালেন বিধায়ক হুমায়ূন
অন্যদিকে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর দিকেও আক্রমণের তির ছোড়েন। তাঁর কথায়, ‘ভিলেজ পুলিশদের বেতন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করেনি সরকার। ৬ লক্ষ পদের বিলোপ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কেন ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবেন? বাংলায় ২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা বসে আছেন। এক্ষেত্রে আলোচনা করে সমাধান করা যাচ্ছে না? এই সরকার অমানবিক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। রাজ্যের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে রয়েছেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সব সরকারি পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ করা হোক।’