[ad_1]
দাড়িভিটকাণ্ডে একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে রুল জারি করে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য মঙ্গলবার এবিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য সরকার। তাতে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বেঞ্চ ।
আরও পড়ুন: দূরে দাঁড়িয়ে দেখেছে, দাড়িভিটকাণ্ডে আদালতের ভর্ৎসনা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার আবেদন জানায়। এর আগে মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন মামলাকারীর আইনজীবী। গত ১৫ মার্চ সেই মামলায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ওই তিন কর্তাকে রুল জারি করে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মতো আগামী ৫ এপ্রিল তাঁদের হাজিরা দেওয়ার কথা। কেন হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি তা জানাতে বলেছিল একক বেঞ্চ।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্য সরকার এবং সিআইডির ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। অতীতে এই মামলায় তিনি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সিআইডি এনআইএ-এর হাতে নথি তুলে দেয়নি বলে অভিযোগ তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী। তাছাড়া, ক্ষতিপূরণও না দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন। কেন এই সমস্ত নিজের কার্যকর করা হয়নি? তা জানতে ৩ কর্তাকে তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা।
উল্লেখ্য, দাড়িভিটকাণ্ড ঘটেছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাই স্কুল। সেই সময় অবরোধ থেকে শুরু করে পুলিশের লাঠিচার্জ এমনকী বোমা গুলিও চলেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাতে দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মনের মৃত হয়েছিল। ওই বছর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। এদিকে, এই ঘটনার পর টানা ২ মাস ধরে আন্দোলন চালায় মৃত ছাত্রের পরিবার এবং আত্মীয়দের একাংশ।
পরিবারের দাবি ছিল, পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল পুলিশ। পরে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তবে সেই সময় কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে গত বছর এই ঘটনায় বিচারপতির রাজশেখর মান্থা এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে।