Home আপডেট Drugs smuggling: গাঁজা উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে কুকুর দিয়ে তাড়ানোর অভিযোগ, কারাদণ্ড হল দম্পতির

Drugs smuggling: গাঁজা উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে কুকুর দিয়ে তাড়ানোর অভিযোগ, কারাদণ্ড হল দম্পতির

Drugs smuggling: গাঁজা উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে কুকুর দিয়ে তাড়ানোর অভিযোগ, কারাদণ্ড হল দম্পতির

[ad_1]

মাদক সংক্রান্ত এক মামলায় এক দম্পতিকে কারাদণ্ড দিল আদালত। সেক্ষেত্রে মাদক পাচারকারী জয়দেব দাসকে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে অতিরিক্ত দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, তার স্ত্রী গৌরী দাসকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে তার ১.৫ লাখ টাকার জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। আলিপুরের নারকোটিক্স আদালত এই মামলায় সাজা ঘোষণা করে। অভিযুক্ত দুজনেই ট্যাংরার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে শুধু মাদক পাচারের অভিযোগই ছিল না, পুলিশের বিরুদ্ধে কুকুর লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এই দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছাগলের ব্যবসার আড়ালে বড়সড় মাদকের চক্র, গাইঘাটার দম্পতির কীর্তিতে চাঞ্চল্য

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালের নভেম্বরে এন্টালি থানা এলাকায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালবাজারের গোয়েন্দারা এন্টালিতে হানা দিয়ে প্রথমে জয়দেব দাসকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে সেই সময় উদ্ধার হয়েছিল ১ কিলো গাঁজা। এরপরেই তদন্তে নামেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তখন জয়দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে তার বাড়িতে আরও প্রচুর পরিমাণে গাঁজা রয়েছে। তা জানার পরে জয়দেবের ট্যাংরার বাড়িতে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। কিন্তু, ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই সে সমস্ত গাঁজা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন আধিকারিকেরা সেই সমস্ত পুড়িয়ে ফেলা গাঁজার ছাই উদ্ধার করে। কিন্তু, সেগুলি উদ্ধার করা সহজ ছিল না। 

জানা গিয়েছে, জয়দেবের বাড়িতে দুটি কুকুর ছিল। তার মধ্যে একটি ডোবরাম্যান এবং অন্যটি রডউইলার প্রজাতির। কুকুর দুটির নাম ছিল যথাক্রমে রকি এবং টাইসন। আধিকারিকরা ওই বাড়িতে গেলেই তাদের ওপর কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় জয়দেবের স্ত্রী গৌরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইসঙ্গে পোড়ানো ছাই উদ্ধার করে। সেগুলি ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়। তাতে বোঝা যায় সেগুলি গাঁজা ছিল। সবমিলিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া গাঁজার পরিমাণ প্রায় ২১ কিলো।

সেই ঘটনার পরে অবশ্য কুকুর দুটিকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর আদালতের নির্দেশে কুকুরগুলিকে একটি এনজিওর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে মামলা চলাকালীন দুটি কুকুরের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে রকির মৃত্যু হয়েছিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে। গত জানুয়ারি মাসে মৃত্যু টাইসনের। টিক ফেভারে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে মামলা করার পর অবশেষে সাজা করল আদালত।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here