আদালতে নির্দেশের পরেও নির্বাকার। বন্ধ হয়নি দ্বারকেশ্বর নদীতে দূষিত জল ফেলা। এবার তাই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে। যদি দেখা দ্বারকেশ্বর নদীতে দূষিত জল ফেলা জারি রখেছে রাাইস মিলগুলি, তবে সেগুলিকে চিরতরে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।
হুগলি জেলার আরামবাগের চাঁপাডাঙা এলাকায় পাঁচটি রাইস বেশ পুরনো। সেই রাইস মিলগুলিতে বহু পুরনো লোকো বয়লার মেশিন ব্যবহার করা হয়। মেশিন থেকে বেরনো দূষিত জল ফেলা হয় দ্বারকেশ্বর নদীতে। এই দূষিত জল পরিশোধনের কোনও প্ল্যান্ট নেই। থাকলেও তা অকেজো।
এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। মামলায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ওই এলাকায় গিয়ে রাইস মিলগুলির যাবতীয় পরিকাঠামো খতিয়ে দেখবে। দূষণ বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।
(পড়তে পারেন
কিন্তু অভিযোগ ওঠে, আদালতের এই নির্দেশ কার্যকরী হয়নি। উল্টে স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের সহযোগিতায় চালকলগুলি দূষণ ব্যাহত রেখেছে।
এই নিয়ে একটি নতুন মামলা দায়ের হয় প্রধানবিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘ হাইকোর্টের নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ওই চালকলগুলি চলছে। সেগুল ১৯৫৫ সালের পুরনো লোকো মেশিন ব্যবহার করছে। একটি চালকলে জল পরিশোধনের কোনও ব্যবস্থা নেই। বাকি তিনটিতে থাকলেও সেগুলি অকেজো। সেই দূষিত জল ফেলা হচ্ছে নদীতে।’ দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি মিল বন্ধ করে বাকিগুলিতে জল পরিশোধনের প্ল্যান্ট বসানোর নির্দেশ দেয়। পরিকাঠামো আধুনিক করার জন্য তিন মাস সময় দেয় পর্ষদ। তার পর অনেক দিন কেটে গেলেও কোনও উদ্যোগনেয়নি চাল কলগুলি। উল্টে তারা অভিযোগ তোলে, আরামবাগের মহকুমা প্রশাসনের রাস্তা সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ হওয়ার জন্য জল আটকে রয়েছে। তারা দাবি তোলে অবিলম্বে নতুন ড্রেন তৈরি করে দেওয়ার জন্য। তাদের সেই দাবি মেনেও নেয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তার পর বিষয়টি ধামা চাপা পড়ে যায়। এবার কড়া পদক্ষেপ নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশ না মানতে চালকলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।