Home আপডেট Exclusive Naxalbari Ground Zero Report: ‘পথটাই ভুল ছিল!’ নকশালবাড়িতে বসে অকপটে স্বীকার কানু সান্যালের সহযোদ্ধা শান্তির

Exclusive Naxalbari Ground Zero Report: ‘পথটাই ভুল ছিল!’ নকশালবাড়িতে বসে অকপটে স্বীকার কানু সান্যালের সহযোদ্ধা শান্তির

Exclusive Naxalbari Ground Zero Report: ‘পথটাই ভুল ছিল!’ নকশালবাড়িতে বসে অকপটে স্বীকার কানু সান্যালের সহযোদ্ধা শান্তির

[ad_1]

নকশালবাড়ির হাতিঘিষা গ্রাম। এই গ্রামেই একটা সময় থাকতেন কানু সান্য়াল। ছোট্ট টিনের বাড়ি। কার্যত এটাই ছিল আন্দোলনের সূতিকাগার। একটা সময় এই বাড়িতেই নানা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হত। তবে সেসব আজ অতীত। সেই বাড়ি এখন কার্যত সংগঠনের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

বাড়ির উঠোনে পতপত করে উড়ছে লাল পতাকা। নিকানো উঠোন। সামনের দরজাটা বন্ধ। নতুন করে লাল টিন দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে বাড়ির সামনের অংশটা। এখানে কানু সান্যাল তাঁর জীবনের অনেকগুলো দিন কাটিয়েছিলেন। একেবারে সরল সাধাসিধে জীবন যাপন করতেন। এখানেই প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। এখন কেমন আছে নকশালবাড়ি? ঘুরে দেখল HT Bangla।

অনেকটাই বদলে গিয়েছে নকশালবাড়ি। কানু সান্যালের সেই বাড়ির কাছেই উড়ছে তৃণমূলের পতাকা। পাশেই রয়েছে গেরুয়া পতাকা। কাছেই শান্তি মুন্ডার বাড়ি। কানু সান্যালের অন্য়তম সহযোদ্ধা। অশীতিপর বৃদ্ধা। বয়স ৮২ বছর। তবে এখনও নকশালবাড়ির কথা বললে চোখটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তিনি কানু সান্যালের বহু কর্মকাণ্ডের সাক্ষী।

নকশালবাড়ির শান্তি মুন্ডা, প্রয়াত কানু সান্যালের অন্য়তম সহযোদ্ধা ছিলেন তিনি। নিজস্ব চিত্র।

সেই সব আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করতেই একটু ভেবে নেন বৃদ্ধা। নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে কীভাবে চা বাগানের ঝোড়ার পাশে লুকিয়ে ছিলেন সেকথা বলে চলেন শান্তি মুন্ডা। এখনকার রাজনীতি সম্পর্কে একেবারে হতাশ তিনি।

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সামনে অকপট শান্তি মুন্ডা। ফেলে আসার দিনের কথা বলতে গিয়ে বার বার কোথায় যেন হারিয়ে যান।

শান্তি বলেন, ‘তখন আমার ১৩-১৪ বছর বয়স ছিল। কানুদা এখানে এসেছিলেন। সকালের দিকে থাকতেন। আর ৪-৫টার সময় চলে যেতেন। আর যখন সংগঠনটা হল, তখন গ্রামেই থেকে যেতেন। তারপর যখন সংগঠনটা তৈরি হল তখন তারা গ্রামে থাকতেন। তখন কানুদার বয়স ২৫-২৬। আর তখন আমি কিশোরী।’ বলে চলেন শান্তি মুন্ডা। বয়সের ছাপ শরীরে। তবুও সেই কিশোরী বেলার কথা মনে পড়তেই শক্ত হয়ে ওঠে চোয়াল। আন্দোলনের সেই দিনগুলো যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন।

শান্তি মুন্ডা বলেন, যখন কানুদা অসুস্থ হয়ে পড়লেন তখন বিশেষ কোনও কমরেড আসেননি। পাহাড় থেকে কেউ কেউ আসতেন। শান্তি মুন্ডা বলেন, নকশালবাড়ির খতমের রাজনীতি ভুল ছিল। ওই খতমের লাইন ভুল ছিল। মানুষকে মেরে কিছু হয় না। জমিদারকে মারলে তার ছেলে, মেয়ে বউ, আত্মীয়স্বজন রয়েছে। কানুদা খতমের রাজনীতি নিয়ে কলকাতায় যখন সমর্থন করে এসেছিল, সেখান থেকে ফেরার পরে কানুদার মুখ দেখলাম একেবারে ভারী। আমি বললাম কী হল! কানুদা বলল, সবাই একদিকে আর আমি একা। ভয় পেয়ে আমি সমর্থন করলাম। আমি বললাম এটা কেন করলেন?

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here