Home অফ-বিট মৃত্যুর পর ‘কিন্নর’-এর মৃত শরীরের সাথে করা হয় এই নির্মম ব্যবহার! জানতে ক্লিক করুন……

মৃত্যুর পর ‘কিন্নর’-এর মৃত শরীরের সাথে করা হয় এই নির্মম ব্যবহার! জানতে ক্লিক করুন……

ওয়েব ডেস্কঃ   “বৃহন্নলা ” শব্দটা বেমানান লাগল, তাই না? রাস্তায় ঘাটে দেখলে সবার সামনে একটু ভ্রু কুঁচকে যাওয়া, আর ভিতরে তীব্র আকাঙ্কা, কারণ একটু অন্যকে খুঁচিয়ে দুটো তাদের মুখ থেকে খারাপ কথা শোনার আস্বাদ, কি বড়ো বেমানান কথা বললাম তাই না? কিন্তু আপনারাও জানেন এটাই রাস্তায় ঘটে থাকে। কারণ এটা যে অন্যের খুঁত , নিজের নয়। একটু বেশী আবেগী হয়ে সত্য কথা বলে ফেললাম, তবে আমি আজ তাদের জীবনের দুটো কথা বলতে চাই। কারণ এতো কিছুর মাঝেও তাদের জীবনের আসল কিছু কথাই অজানা।

Image result for hijra marriage
জানেন কি “বৃহন্নলা ” আমাদের থেকে যেমন দেহের আকারে আলাদা, তেমন তাদের প্রচলিত রীতি নীতিও আমাদের থেকে বেশ কিছুটা  আলাদা। উদাহরণ স্বরূপ যেমন বলা যায়,  সাধারণত লোকের একবারই বিয়ে হয়, কিন্তু বৃহন্নলাদের প্রতি বছর একবার করে বিয়ে হয়। আবার যখন কোন বৃহন্নলা মারা যায়, তখন তাদের গোষ্ঠীর লোকেরা সেই মৃত বৃহন্নলার দেহ কে নির্মমভাবে জুতো পেটা করে। আবার এদের দেহ জ্বালানো হয় না, মাটিতে চাপা দেওয়া হয়। হিন্দু ধর্মের অনেক নিয়ম পালন করলেও মৃত বৃহন্নলার যে দেহ সংস্কার করা হয়, তা কোন সাধারণ মানুষ কে দেখানো হয় না। কারণ তাদের গোষ্ঠীর মতে, যদি কোন আমজনতা তাদের মৃতদেহের সংস্কার দেখে ফেলে তবে সেই মৃত ব্যক্তিটি আবার বৃহন্নলা হয়েই জন্মাবে। তাই সমাজের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুকিয়ে তাদের দেহ মাটিতে সমাধি দেওয়া হয়।

Image result for hijra marriage
এখন নিশ্চয়ই আপনাদের মনে  একটা প্রশ্নের  উদ্রেক হচ্ছে যে, এদের কেন জুতো দিয়ে পেটান হয় ?  কারণ এরা এ জীবনে  সাধারণের থেকে আলাদা, এমনকি মাতৃসুখ থেকে বঞ্চিত থাকে,তাই এই জীবন যেন আর বার বার ফিরে না আসে।  জুতো দিয়ে মারলে তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী তারা আর এমন কিন্নর বা বৃহন্নলার জীবন পাবে না। এই কষ্টকর জীবন থেকে মুক্তি পাবে।
আপনারা আরো আশ্চর্য হবেন, যে, বৃহন্নলারা মারা গেলে তাদের গোষ্ঠীর লোকেরা দু:খ করে না, বরং তারা তাদের আরাধ্য দেবীকে নিয়ম মেনে পূজা করে। কারণ হলো, সেই বৃহন্নলা যেন আর এমন দু:খের কষ্টের এই জীবন না পায়। তাই তারা ভালো জীবনের আরাধনা করে।

Image result for Farm house
আরো জানলে অবাক হতে হয় যে, বৃহন্নলাদের প্রতি বছরে একবার করে বিয়ে হয়। বিয়ের আগের দিন তারা বিধবার মতো সাদা শাড়ি পড়ে মাতা বহুচরার পূজা করে। ঈশ্বর কে বলে যেন আর এমন জন্ম না হয়। তবে সেদিন তারা শৃঙ্গার করে না, বরং সিঁদুর মুছে দিয়ে বিধবার রাত পালন করে। তাহলে বুঝতে পারছেন তো সবটাই আচার নয়, বরং মুক্তি জীবনের স্বাদ পেতেই এ সংস্কার।

এখন নিশ্চয় একটু তাদের দিনের কাজ সম্বন্ধে জানতে ইচ্ছা করছে? মনে হচ্ছে না তারা রোজ আমাদের চেনা জগতের বাইরে কেমন করে চলে? আসুন তবে জেনে নি ……

বৃহন্নলারা সকাল ৬ টায় উঠে পড়ে। ১০ টার মধ্যে খেয়ে কাজে বেড়িয়ে পড়ে। তারপর ট্রেন, বাস, রাস্তা পেরিয়ে টাকা উপার্জন করে ৫ টা থেকে ৫.৩০ টার মধ্যে ট্রেন ধরে বস্তিতে ফেরা। ১০ টার মধ্যে খাবার খেয়ে, বৃহন্নলারা ১১.৩০ টার মধ্য বস্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে। এইভাবে রোজনামচায় দিন চলে বৃহন্নলাদের। এখানেই জীবনের চলাচল, আর ভিন্ন মতে বৃহন্নলাদের পথ চেনা।

Related image

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here