[ad_1]
পুলিশের দাবি শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার সর্বত্র কমবেশি শব্দবাজির দাপট টের পেয়েছেন শহরবাসীরা। তুলনামূলক ভাবে কম হলেও তা স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করার পক্ষে যথেষ্ট বলে দাবি করেছেন অনেকে। লক্ষ্মীপুজোয় শব্দবাজির কারণে সমস্যা পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা। একই সঙ্গে আতঙ্কিত ছিল পষ্যরাও। শহরবাসীর প্রশ্ন, লক্ষ্মীপুজোয় যদি এই অবস্থা হয় তবে কালী এবং ছটপুজোয় কী হবে?
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন বলছে, দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর, বাঁশদ্রোণী, গড়িয়া, পর্ণশ্রীর সঙ্গে উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া, কাশীপুর, উল্টোডাঙা এবং ফুলবাগান এলাকায় শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
(পড়তে পারবেন। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় আয়ুষ ডিসপেনসারি খুলছে রাজ্য সরকার, কেন এমন সিদ্ধান্ত?)
লক্ষ্মীপুজোর দিন মূলত বহুতল আবাসনে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি দেদার বাজি ফাটলেও সেখানে পুলিশের দেখা মেলেনি। প্রশ্ন হল পুলিশের নজরদারি থাকা সত্বেও এই সব শব্দবাজি আসছে কোথা থেকে?
কিছুদিন আগেই ইএম বাইপাসে নিষিদ্ধ শব্দবাজি-সহ একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভাঙড় থেকে ট্রাক ভর্তি বাজি নিয়ে ঢোকার পথে পুলিশ তাকে আটক করে। এতেই স্পষ্ট পুলিশের নজরদারি থাকলেও শহরে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজি ঢোকানো অব্যাহত রেখেছে।
পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের কথায়,’সবাই সব জানে কিন্তু বিধি লাগু করার সদিচ্ছা কারও নেই। তা থাকলে শব্দবাজির দৌরাত্ম্য থাকত না। প্রশাসন যতদিন না সক্রিয় হবে ততদিন শব্দ বাজির দাপট চলবে।’
লালবাজারের দাবি, উৎসবের মরশুম শুরুর আগেই কয়েকশ কেজি শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, লক্ষ্মীপুজোর দিন শহরে পুলিশ বিশেষ নজরদারি চালিয়েছে। প্রতিটি ডিভিশন এবং থানাকেও বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন হল তা সত্ত্বেও শহরে এত শব্দবাজি ফাটল কী করে? পুলিশের দাবি, বেশির ভাগ শব্দবাজি বহুতল আবাসনের মধ্যে ফেটেছে। সব সময় আবাসনের ভিতরে যাওয়া সম্ভব হয় না। সেই কারণে অনেক ক্ষেত্রে আটকানো সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের সচেতনতাই অনেক বেশি জরুরি।
সম্প্রতি শব্দবাজির সর্বোচ্চ শব্দসীমা বাড়ানো হয়েছে। ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। যা নিয়েও ইতিমধ্যেই পরিবেশকর্মীরা তাদের বিরোধিতার কথা জানিয়েছেন। ডেসিবেল বাড়ানোয় তাদের আশঙ্কা কালী ও ছট পুজোয় শব্দবাজির দাপটে টেকা দায় হবে।