Floods in China: চীন ডুবে যাচ্ছে! পাপের হিসেব হওয়ার সময় চলে এল? ড্যাম তৈরি একের পর এক সেজন্যই কি অস্বাভাবিক বৃষ্টি? ১৯৩১ চীনের ভয়ানক বন্যার স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে! কত ক্ষতি কী বেহাল দশা শুনলে চমকে যাবেন। চীন মারাত্মক বন্যায় ডুবে যাচ্ছে কর্মের এবার উচিত ফল পাবে। এই লড়াইয়ে চীন পুরোপুরি গোহারা হেরে যেতে পারে। একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া কেউ বাঁচাতে পারবে না এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে। অনেকেই বলছেন এবার এমন দুর্গতি হল বেজিংয়ের তাতে রীতিমত থরথর করে কাঁপছেন শি জিনপিং। রিপোর্ট বলছে, টানা ৩ দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি এবং বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ড্রাগনল্যান্ডের একাধিক এলাকা। বেজিংয়ে রীতিমত জলপ্রলয় সেখানে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের প্রাণ হারানোর খবর। তবে আসল সত্যি কি সেটাই? কেন চীনে বারবার এমন ভয়ানক বন্যা হয়? নেপথ্যে কি জিনপিংয়ের পাগলের পর একের পর এক ড্যাম তৈরিই কারণ?
চীনের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর এমন বৃষ্টি চীনে রীতিমত অস্বাভাবিক। থ্রি গর্জেস ড্যাম বেজিং তৈরি করেছে যা বদলে দিচ্ছে পৃথিবীর আহ্নিক গতি বার্ষিক গতি। এমনকি পৃথিবীর আকৃতিতেও বদল আনে এই বাঁধ। ২০০৫ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন থ্রি গর্জেস বাঁধের বিপুল জলরাশির চাপে পৃথিবী আগের চেয়ে কিছুটা ঝুকে গিয়েছে। রীতিমত প্রকৃতিক বিরুদ্ধে গিয়ে লড়াই পরিণতি তো করুণ হবেই কতটা ভয়ানক চীনের এবারের বন্যা? জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বহু দেশ। সঠিক তথ্য দুনিয়ার সামনে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ এলাকায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেয়াল করতে হবে এমন বিপর্যয় কিন্তু দক্ষিণ চিনের পাশাপাশি উত্তর চিনে অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে জন্য হয়েছে। অবাক করার মতো ব্যাপার শেষ কবে উত্তর চিনে এত বৃষ্টি হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না সেখানকার বাসিন্দারা। তথ্য বলছে মধ্য চীনের হুবাই প্রদেশে প্রথম বার থ্রি গর্জেস বাঁধে যখন জলভর্তি করা হয় তখন ওই জল বেরিয়ে চিনের দেড় হাজার শহর ভাসিয়ে দিয়েছিল। সেক্ষেত্রে অনেকেরই মত শুধু থ্রি গর্জেস বাঁধই নয় এধরণের একের পর এক বাঁধ তৈরি করে জল আটকে রেখেছে বেজিং। যার বিরূপ প্রভাব কি এবার পড়ছে প্রকৃতিতে?য ১৯৩১ সালে বন্যার কথা উঠলে আজও চমকে যায় চিনিরা। কেউ জানে না ঠিক কত মানুষের জীবন গেছিল তবে ফাঁস হয়েছিল সেই বন্যায় সংখ্যাটা নাকি ছিল ৪০ লক্ষের কাছাকাছি। এবারও কি সেই অতি বেহাল দশার দিকে এগোচ্ছে চিন। জানা যাচ্ছে যে যে এলাকা এখন জলের নীচে সেখান থেকে এক্ষুনি বন্যার জল সরার সম্ভাবনা নেই এবার কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে ড্রাগনের দেশ?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়