গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে মুড়িগঙ্গায় জেগে উঠেছে একটি চর। সেই চরের ফলে সাগরদ্বীপে যাতায়াতে অসুবিধা হতে পারে। বুধবার নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাকদ্বীপ লট-৮ থেকে জলপথে কচুবেড়িয়া যাওয়ার যে চ্যানেল রয়েছে, সেই চ্যানলেই এই চরটি দেখা দিয়েছে বলে জানান বঙ্কিম হাজরা। ২০১৩ সালে এই এলাকায় বাংলাদেশের একটি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল। তারপর থেকে কচুবেড়িয়াতে সিলটেশন দেখা দিয়েছে। গড়ে উঠেছে চরটি।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, এখনও সেই জাহাজটি কেন তোলা হয়নি। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ফারাক্কা ও আরও একটি জায়গা থেকে ড্রেজার আনা হচ্ছে। কিন্তু তার পরও মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন,’সেনাবাহিনীর অনেক এক্সপার্ট আছে। বাংলাদেশের জাহাজটিকে তুলে ফেলা সম্ভব নয়?’
এরপর মুখ্যমন্ত্রী সেচ দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে জাহাজটি তোলার ব্যবস্থা করতে। বিধায়ক জানান, উলগানাথন জেলাশাসক থাকার সময় জাহাজটি তোলার জন্য চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু তা তোলা সম্ভব হয়নি। নৌসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে জানান মন্ত্রী।
(পডুন। উৎসশ্রী পোর্টাল ফের চালু হোক, সরব রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা)
বুধবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনার প্রতিনিধি। তাঁর কাছে মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, নৌসেনার কাছে এ ধরনের কোনও বিশেষজ্ঞ নেই। ড্রেজিং কর্পোরেশনকে চিঠি লিখে আবেদন করার যেতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান আধিকারিকরা।
সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি সময় সাপেক্ষ, গঙ্গাসাগরমেলার আগে জাহাজটিকে তোলা সম্ভব হবে না।’ তিনি নির্দেশ দেন মেলা শেষ হওয়ার পর দ্রুত যেন মুড়িগঙ্গা থেকে জাহাজটি তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মমতা আরও বলেন, ‘কীভাবে জায়গাটা মার্কড করবে, তার জন্য আমরা পরিদর্শন করব।’