এক সময়ের বন্ধু, আজকের রাজনৈতিক শত্রু বিমল গুরুং ভোট দিয়েছেন সাত সকালে। বিনয় তামাং ভোট দিলেন পঞ্জিকা মেনে। পুরোহিতের বিধান শুনে দুপুর দেড়টায় ইভিএম-এর বোতাম টিপলেন। জয় নিয়ে নিঃসন্দেহ, আজও বিমল গুরুংকে অপ্রাসঙ্গিক মনে করছেন। অবশ্য দুই যুযুধান পক্ষের প্রধান মুখের মিল একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের বিষয়ে নিসংশয় দুপক্ষই।
বিনয় তামাং এদিন বলেন,আমাদের প্রধান লড়াই বিজেপির সাথে। ২০১৯ হবে না এবারের ভোট। মানুষ বুঝে গেছে কারা উন্নয়ন চায়। কারা অশান্তি চায়। ২০১৭ অশান্তি পাহাড়ের মানুষ ফেরত চায় না।
কিন্তু একে অন্যের সঙ্গে লড়ে তো তারা বিজেপিকে সুবিধে পাইয়ে দিলেন? উত্তরে বিমল গুরুংয়ে নম্বর দিতে নারাজ বিনয়। তাঁর কথায়, বিমল গুরুং কোনও ফ্যাক্টর নয়। বিমল বনাম বিনয় ভোট ভাগ হবে না। বিনয় এদিনও বলেন, পাহাড় ঠাণ্ডা করার বিষয়ে তাদের ভূমিকার কথা জানেন মানুষ। আর সেই সূত্রেই ব্যালটবক্সে নিজের দলের পক্ষে ভোটের ফোয়ারা দেখছেন বিনয়।
এখানেই থেমে না থেকে নিজেকে চাণক্যের আসনে বসাচ্ছেন বিনয়। বলছেন, আমি এখনই বলছি না আমি কিং মেকার। তবে দিদির সরকার গঠনে আমার ভূমিকা থাকবে।
পাহাড়ে ভোট তিনটি আসনে, দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ে। এই তিনটি আসনেই ২০১৬ সালে জেতে বিজেপি। অবশ্য তার পর তিস্তা-রঙ্গিত দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। বিমল গুরুং ফেরার হতেই তাঁর দলে ভাগ বসান বিনয়। জিটিএ-এর মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ জারি রাখার পাশাপাশি সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ করেছেন। ভোটের প্রচারে কোনও ফাঁক রাখেননি। তাঁর যুক্তি, তাঁর এবং অনীত থাপার নেতৃত্বেই পাহাড়ে শান্তি রয়েছে। সেই শান্তি অক্ষুন্ন রাখতেই মানুষ ভোট দেবে তাদের। ভোট পড়বে বিজেপির বিরুদ্ধে, এমনটাই মনে করেন বিনং তামাং। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুই শক্তিকে একজোট করতে চেষ্টার কসুর করেননি। কিন্তু একপ্রকার ব্যর্থ হয়েছেন। তবে সম্মান ও সমর্থন পেয়েছেন দুই পক্ষ থেকেই। এখন দেখার তাঁর হাত শক্ত করতে পারে কোন গোষ্ঠী।