চন্দ্র মিশনে সাফল্যের পথ দেখালেন বিতর্কিত যাদবপুরের ৩ জন। চন্দ্রজয়ের সাফল্যেই এবার জুড়ে গেল সেই যাদবপুরের নাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা কারা এই তিন জন? হাজার বিতর্কের মাঝে অন্ধকারে চাঁদের আলো এই তিন প্রাক্তনী শেষে মুখরক্ষা করলেন বলছেন নেটিজেনরাও। গত কয়েকদিন ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্ক চরমে।তার মধ্যেই যে খানিকটা শান্তির বাতাস বইয়ে দিলেন এই তিন জন।
স্বপ্নকে বাস্তব করার জন্য সবথেকে বেশি যাঁদের ওপর ভরসা করেছে ইসরো তাঁদের মধ্যে একজন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা অনুজ নন্দী। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। চন্দ্রযানের ক্যামেরার ডিজাইনিংয়ের কাজ করেছেন। অনুজ নন্দী এই চন্দ্রযান-৩-র ছবি পাঠানোর কারিগরির দায়িত্বে ছিলেন। যাদবপুরে মাস্টার্সে ফাস্ট ক্লাস পেয়েছিলেন এরপর এম টেক এবং পিএইচডি। মাসখানেক আগেই বাড়িতে এসেছিলেন। চন্দ্রযান ৩ উড়ে যাওয়ার পরে বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে কথাও হয়েছে পরিবারের সাথে। ৪৯ বছর বয়সী অনুজ এখন গোটা ইসলামপুরের গর্ব। যখন ছেলের কাজের দিকে তাকিয়ে দেশবাসী তখন গর্বে-আনন্দে চোখে জল অনুজের পরিবারের।
চাঁদের মাটিতে যখন ল্যান্ডার নামল। সেইসময় যাতে হার্ড ল্যান্ডিং না হয় বা ল্যান্ডার ভেঙে না পড়ে সেই কাজের দায়িত্ব ছিল যাদবপুরের এক শিক্ষকের হাতে। পালকের মতো চাঁদের মাটিতে নেমে এসেছে চন্দ্রযান ৩ -র ল্যান্ডার ল্যান্ডার আগে দেখেছে যেখানে সেটি নামবে সেখানে কোনও পাথর বা বোল্ডার আছে কিনা। ওই প্রযুক্তির ইমেজিং সংক্রান্ত গবেষণায় অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন যাদবপুরের সায়ন চট্টোপাধ্যায়। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক। শেষ পর্যন্ত কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি বিক্রমকে। তাঁর কৃতিত্বও অনান্য সহকর্মীর সাথে সায়নেরও প্রাপ্য।
চন্দ্রযান ৩ মিশনে অন্যতম ভূমিকায় ছিলেন যাদবপুরের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অমিতাভ গুপ্তও। ২০১৯ সাল থেকে কাজ শুরু করেছিলেন যাদবপুরের অমিতাভ গুপ্তরা। ২০২২-এর জুলাই মাসে কাজ শেষ হয় টিমে ছিলেন এক জন পিএইচডির গবেষক তিন জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র এবং কয়েক জন বিই ইন্টার্ন চাঁদে পাড়ি দেওয়া বিক্রমের খুঁটিনাটি বুঝে তাঁকে সফলভাবে অবতরণের পিছনে বিরাট ভূমিকা এঁদের। চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়েছে ভারত। ভারতীয়রা জানেন কঠিন লড়াইটা জিতে দেখিয়ে দিয়েছেন ইসোররো বিজ্ঞানীরা। আগের মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর সহজেই চাঁদের মাটিতে পা রাখতে পারল চন্দ্রযান-৩। সেই নকশা এঁকে দিয়েছেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে জ্বলজ্বল করছে এই তিনটে নামও। যতই বিতর্ক হোক। এই তিন সোনার টুকরো ছেলের দৃতিত্ব কোনওদিন ভুলতে পারবে না ভারত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পরে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ শুধু…
এই বছর প্রবল গরম পড়েছে। সেই গরম থেকে এখনও পুরোপুরি নিস্তার মেলেনি। তখন পরিবেশবিদ থেকে…
পিনাকী ভট্টাচার্যরাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ যখন মধ্যগগনে তখন বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। মে মাসের শেষে এই…
লোকসভা ভোটের প্রচারে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ করে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ…
মা উড়ালপুল দিয়ে বিপুল পরিমাণ গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। এটা শহরের ব্যস্ততম উড়ালপুল। এই উড়ালপুল…
প্রযুক্তি ব্যবহারের জেরে শহরে বেড়েছে ইলেকট্রনিক আবর্জনা। এটাকেই অনেকে ই–বর্জ্য বলে থাকেন। শহরের প্রায় প্রত্যেকটি…