একেবারে সেনা বাহিনীর জওয়ানের মতো পোশাক। টুপিগুলিও তেমনটাই। সেই নকল সেনার পোশাক পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন কয়েকজন। কিন্তু কেন? কী ছিল তাদের উদ্দেশ্য? সব থেকে বড় কথা এভাবে কি সেনার পোশাক পরা যায়?
তবে যারা সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছিল তাদের তরফে দাবি করা হয়, তারা এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। তারা ঘটনার খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনের জন্য সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। এদিকে এই ঘটনায় ওই সংস্থার কর্ণধার কাজি সাদেক হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেনাবাহিনীর একটি পরিচয়পত্র ও কিছু নথিপত্র মিলেছে বলে খবর। তবে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য হিসাবে সেনার পোশাক কেন পরেছিলেন তারা?
এদিকে রবিবার সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল দাবি করেছিলেন, প্রাথমিকভাবে যেটা মনে করা হচ্ছে ছাত্রটি যেখানে পড়েছিল সেখানকার তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য় এই পরিকল্পনা করেছিলেন তারা।
এদিকে গোটা ঘটনায় বিরোধীরাও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এভাবে সেনার পোশাক পরা কতটা যুক্তিসংগত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এদিকে এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করার জন্য ৩৯ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আসেন। কিন্তু তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ছাত্রের। সেই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল চরমে ওঠে। তার মধ্যেই সেনার পোশাক পরে একদল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু কেন তারা এভাবে সেনার পোশাক পরলেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
গত বুধবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেনার পোশাক পরে দেখা গিয়েছিল ২০ থেকে ৩০ জনকে।তাদের পরিচয় নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এরপর যাদবপুর থানার ইন্সপেক্টর ভারতীয় সেনার পোশাক অপব্যবহারের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেন। সেনার পোশাক পরা ব্যক্তিরা কাজি সাদিকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। তাদের মাথায় ছিল লাল রংয়ের টুপি। শুধু তাই নয় তাতে ভারতীয় সেনার প্রতীকও ব্যবহার করা হয়েছিল। এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহামঞ্জু বসুর কাছে জানতে চায় পুলিশ। পরে জানা যায় সেনার পোশাক পরে যারা এসেছিলেন তারা আসলে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে একটি সংগঠনের সদস্য।