উপাচার্য পদ নিয়ে জটিলতায় দিশাহীন অবস্থা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের। একগুচ্ছ প্রশ্ন, অথচ কোনও উত্তর নেই। এই পরিস্থিতিতে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু চিঠি দেলেন উচ্চশিক্ষা দফতরকে।
চিঠিতে তিনি জানতে চেয়েছেন, কাকে প্রতিষ্ঠানের মাথা ধরা উচিত? শিক্ষাসংক্রান্ত এবং প্রশাসনিক বিষয়ে কার সিন্ধান্ত চূড়ান্ত হিসাবে ধরা হবে? কে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রাম্ত নানা ফাইলে ছাড়পত্র দেবেন? এই ধরনের প্রশ্নের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের কাছে।
প্রসঙ্গত, সমাবর্তনের আগের তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদের সাউকে সরিয়ে দেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর নির্দেশের পরই পাল্টা বার্তা দিয়ে বুদ্ধদেবকে উপাচার্য হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলে, রাজ্য সরকার। তার থেকে ভিসি রয়ে গিয়েছে তিনি। এভাবে উপাচার্য পদে থেকে যাওয়া নিয়ে বুদ্ধদেবকে আইনি পরামর্শ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা। জুটাও এ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা পেতে চেয়েছ।
প্রভাব পড়তে পারে র্যাঙ্কিংয়ে
উপাচার্য পদ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই সামনেই ন্যাকের পরিদর্শন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর একাধিক বিভাগে পরিদর্শনে আসবে এনবিএ। এর ফলে র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অধ্যাপকরা।
(পড়ুন। রাজ্যেও প্রচারের কেন্দ্রে রামমন্দির, উদ্বোধনের আগেই কোন কৌশলে মাঠে নামছে বিজেপি)
ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘সব থেকে সমস্যায় আধিকারিকরা। কারণ, প্রতি মুহূর্তে নানা জরুরি কাজে ভিসির অনুমোদন ও সই লাগে। এখন আমরা কার থেকে স্বাক্ষর নেব?’ তিনি জানান, রেজিস্ট্রারকে কয়েকজন আধিকারিক চিঠি দিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়, অন্তত তিন জন সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে কর্তৃপক্ষ জানান প্রশাসনিক কাজ কার নেতৃত্বে চলবে।’
শিক্ষক সংগঠন জুটা’র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের কথায়, ‘আমরা রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম উপাচার্য কে? উনি জানিয়েছেন, উনি কিছু বলতে পারছেন না। একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করার জন্যে যা করা যায়, সবই করা হচ্ছে।’
জুটার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বুদ্ধদেবের। তিনি জানিয়েছেন, উপাচার্য হিসাবে না মানলেও, তাঁকে প্রোমোশনের বিষয়টা দেখার জন্য অনুরোধ করেছে জুটা। তবে আদালতে যাওয়ার প্রসঙ্গে বুদ্ধদেবর মত, গেলে বিশ্ববিদ্যালয় যাবে।