প্রধানমন্ত্রী সভার পরই ভোল বদল জন বার্লার। লোকসভা ভোটে প্রার্থী না হতে পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর জায়গায় আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী করা হয় বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে। তা জানতে পেরে এক প্রকার বিদ্রোহ করেন বার্লা। তিনি জানিয়ে দেন বার্লাকে জেতাতে ভোটের ময়দানে নামবেনও না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীয় সভার দিন দিল্লি থেকে আগত নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পর ভোল পাল্টাছেন জন বার্তা। তিনি জানিয়েছেন, ‘মনোজ টিগ্গাকে জিতিয়ে আনার দায়িত্ব আমার।’
অথচ কয়েকদিন আগে তিনি টিগ্গার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। শুধু তাই নয় এক অনুষ্ঠানে এসে মেজাজ হারিয়ে বলেও ফেলেন, ‘মনোজ যদি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না তাহলে ওঁর মুখদর্শন তো দূরের করা ওঁর সঙ্গে কথাই বলব না। দেখি ওকে কে জেতায়।’
গত ৯ মার্চ শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে প্রধানমন্ত্রী সভার ফাঁকে দিল্লির নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন জন বার্লা। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়। সূত্রের খবর, দিল্লির নেতাদের কাছে ধমক খান বার্লা। তার পর থেকে অন্য সুর বিদায়ী সাসদের মুখে।
আরও পড়ুন। শিলিগুড়িতে আচমকা বাতিল হল সিএএ বিরোধী মমতার মিছিল, কর্মসূচিতে কাটছাঁট
সোমবার আলিপুরদুয়ারে কার্তিকা চা বাগানে একটি অনুষ্ঠানে আর তাঁকে টিগ্গাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,’বিজেপি বড় পরিবার। নরেন্দ্র মোদীর পরিবার। এখানে মতান্তর হতেই পারে। আমি সেই পরিবারে একজন বিশ্বস্ত সৈনিক। মনোজ আমার ভাইয়ের মতো। আমি ওর অভিভাবক। ওকে জেতানো আমার দায়িত্ব।’
উল্টে এই বিতর্ক তৈরির জন্য তিনি সংবাদমাধ্যমের দিকেই আঙুল তোলেন। জন বার্লা বলেন,’অনর্থক রঙ চড়িয়ে আপনারা জটিলতা তৈরি করছেন। ও এবার সাড়ে তিন লাখ ভোটে জিতবে।’ তাঁর এই মন্তব্য শুনে খুশি মনোজ টিগ্গা। তিনি বলনে,’আমি আগেই বলেছিলাম সব মিটে যাবে। জন বার্লা আমার নেতা। আমার অভিভাবক। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি। অযথা অপ্রচার চালিয়ে কোনও লাভ নেই।’
আরও পড়ুন। দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে CAA, মমতা কি পারেন বাংলায় নাগরিকত্ব আইন আটকাতে?
তবে টিগ্গার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বার্লা। সেই অভিযোগকেই এবার হাতিয়ার করতে চায় রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের প্রার্থী প্রকাশ চিকবড়াইক বলেন, ‘বার্লা তো গুলি ছুড়ে দিয়েছেন। টিগ্গার বিরুদ্ধে দুর্নীতি তুলে দলে র গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এনে দিয়েছেন তিনি। ‘